মহামারী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে এখনো বিপর্যস্ত বিশ্ব। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও শনাক্তের সংখ্যা। এই মহামারী সংক্রমণে পৃথিবী স্থবির হয়ে আছে। একমাত্র এর প্রতিষেধক ভ্যাকসিন এলেই মিলবে মুক্তি, স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে সারা বিশ্বে। এমন আশায় বসে আছেন গোটা বিশ্বের মানুষ। এরই মধ্যে আশা দেখাচ্ছে ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের করোনা ভ্যাকসিন ই-৮৫।
জানা গেছে, আরব আমিরাতের স্বাস্থ্যখাতের সহায়তায় চীনা কোম্পানি সিনোফার্ম যৌথভাবে এই করোনা ভ্যাকসিনের গবেষণা চালাচ্ছে। আবুধাবিতে ভ্যাকসিনটির প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালে সফলতা এসেছে। এখন তৃতীয় ধাপ তথা চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে ভ্যাকসিনটি। এই পর্যায়ে সাফল্য আসলে ভ্যাকসিনটি করোনা থেকে মানুষকে মুক্ত করতে পারবে।
আমিরাতের করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির প্রধান ডক্টর নাওয়াল আহমেদ আলকাবি বলেন, ধারণার চেয়েও দ্রুত কাজ হচ্ছে। গবেষকদের সরব অংশগ্রহণে এবং আমিরাত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাগ্রতায় এখানে প্রায় ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ভ্যাকসিনটি গ্রহণ করছেন। আশা করছি, আপনাদের কাজের প্রতি নিষ্ঠা খুব দ্রুত কাজ শেষ করতে সক্ষম করবে। খুব দ্রুতই ই-৮৫ নামের এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালের ফল পাওয়া যাবে।
সম্প্রতি একজন ব্লগার আবুধাবির এই গবেষণাগারে যান এবং সেখানের বিভিন্ন আশা জাগানিয়া তথ্য তুলে ধরেন। নাস নামের ওই জনপ্রিয় আরব ব্লগার ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানান, ভ্যাকসিনটি চূড়ান্ত ট্রায়ালে রয়েছে। এটা বিভিন্ন দেশের মানুষের উপর পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। তাদের শরীরে ভ্যাকসিনটি কাজ করলে, তবেই চূড়ান্ত সফল করোনা ভ্যাকসিনের স্বীকৃতি পাবে এটি। যার ফলে মানুষের মধ্যে আগের সেই স্বাভাবিকতা এসে মহামারীর দিন শেষ হবে।
উল্লেখ্য, প্রায় ১৫০টি করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বিশ্বে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীনসহ প্রায় প্রত্যেকটি দেশটি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ প্রথম, দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ভ্যাকসিনের সফলতা পেয়েছে, আবার কেউ কেউ শুরুতে বা ট্রায়ালে দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে ব্যর্থ হয়েছে। তবে আবুধাবিতে চলা এই ভ্যাকসিন গবেষণা আশা দেখাচ্ছে বিশ্বকে।