গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৯৮ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮৫৭ জনে।
সোমবার (১৭ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২৩ হাজার ৯৪ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৬৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৮টি, জিন এক্সপার্ট ৩৭টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩০১টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১০ হাজার ৫০৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৩৪৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৭ লাখ ১৮ হাজার ৬৩টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৬ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ২১ জন, সিলেট বিভাগে ৩ জন। চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে ২ জন করে ৬ জন। এছাড়া বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন করে ২ জন রয়েছেন।
এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১১ জন। আর বাড়িতে মারা গেছেন ২ জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২২৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৪২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ২৮ হাজার ২৬৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৬৪২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ৬২৭ জন।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।