আমাদের সুস্থতা ও সৌন্দর্য অনেকটা নির্ভর করে দাঁত ও মুখের ভেতরের সুস্থতা ওপর। মুখ পরিষ্কার ও রোগমুক্ত রাখার জন্য ওরাল হাইজিন বা মুখের হাইজিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওরাল হাইজিন বা মুখের হাইজিনকে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ বলা হয়ে থাকে।এর মাধ্যমে মুখের কিছু সমস্যা যেমন ক্যাভিটি, মাড়ির রোগ, নিশ্বাসের দুর্গন্ধ বা অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
মুখ পরিষ্কার রাখার অনেক পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা ও ফ্লস, নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে ডেন্টাল এক্স-রে করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং পরিষ্কার করা। ওরাল হেলথ বা মুখের স্বাস্থ্যের সঙ্গে শারীরিক স্বাস্থ্যও সম্পর্কিত। এর মাধ্যমে বোঝা যায় মুখের ভেতর কোনো ইনফেকশন রয়েছে কিনা, শরীরের অন্য কোনোস্থানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রয়েছে কিনা ইত্যাদি।
দাঁতের ক্ষয় যেভাবে হয়
খাবার ও ব্যাকটেরিয়া প্রায়ই দাঁতের ক্ষয় ঘটায়। প্লাক নামক একটি আঠালো পদার্থ সর্বদা আপনার দাঁত এবং মাড়িতে তৈরি হয় এবং এতে ব্যাকটেরিয়া থাকে যা প্রায়শই আপনার খাওয়া খাবারে শর্করা খায়। ব্যাকটেরিয়া খাওয়ার সাথে সাথে তারা অ্যাসিড তৈরি করে যা দাঁতকে আক্রমণ করে। সময়ের সাথে সাথে, এই অ্যাসিডগুলি দাঁতকে প্রভাবিত করে এবং এনামেলকে ধ্বংস করে, যার ফলে ক্ষয় হয়।
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ ও ফ্লস না করা। নিয়মিত চেক-আপ এবং পরিষ্কারের জন্য ডেন্টিস্টের কাছে না যাওয়া। পর্যাপ্ত ফ্লোরাইড না পাওয়া যা দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে আপনার দাঁতকে ফলক দ্বারা উৎপাদিত অ্যাসিড প্রতিরোধী করে তোলে।
- দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা
- ক্যাভিটি
- মাড়িজনিত রোগ (জিনজিভাইটিস)
- পেরিওডন্টাইটিস
- দাঁত ভেঙে যাওয়া বা ক্র্যাকড টুথ ইত্যাদি
- দাঁতের বিভিন্ন চিকিৎসা
- ডেন্টাল স্কেলিং
- ফিলইং
- রুট ক্যানেল থেরাপি
- ডেন্টাল ক্রাউন
- ডেন্টাল ব্রিজ
- ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট ইত্যাদি।
ডাক্তারের পরামর্শ মত আপনার দাঁত ঝকঝকে আর সুস্থ রাখতে দরকার দাঁতের নিয়মিত যত্নের।কিছু নিয়ম মেনে চললে দাঁতের ক্ষতির মোকাবেলা করা সম্ভব।
- প্রতিদিন নিয়মিত দু’বার ব্রাশ করতে হবে
- পান, সিগারেটের অভ্যাস থাকলে কিন্তু দাঁত ঝকঝকে সাদা হবে না
- চা, কোমল পানীয় পানেও সতর্ক থাকেতে হবে। কেননা, এসবেও দাঁতে দাগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে
- ৮ সপ্তাহ পরপর টুথব্রাশ বদলে নিন
- অনেক দিন ধরে এক ব্রাশ ব্যবহারে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে
- দাঁত সাদা করতে সপ্তাহে একবার পেস্টের সঙ্গে সামান্য বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে পারেন
- টুথপেস্টের সঙ্গে লবণ ব্যবহার করুন দাঁতের দাগ হালকা হবে
- ভালো ব্র্যান্ডের মাউথ ওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করতে হবে
- সপ্তাহে একবার গরম পানিতে ব্রাশ ধুয়ে নিন
- ব্রাশ কখনোই ঢাকনা যুক্ত স্ট্যান্ডে রাখা ঠিক নয়, এতে করে ব্রাশে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে
- নিয়মিত গ্রিন টি, দুধ, দই, পনির, ডিম, মাছ, মাংস, বিশেষ করে মাংসের হাড়, আপেল, স্ট্রবেরি, লেবু, পেঁয়াজ, শশা, আমাদের খাদ্য
- তালিকায় থাকলে দাঁত সুস্থ ও মজবুত হবে। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
- দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝতে হবে। বছরে অন্তত দুবার দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকআপ করিয়ে নেওয়া খুব দরকার।