দাঁতের শিরশিরানি অবহেলা করা একেবারেই উচিত নয়। এনামেল ও দাঁতের রুটের বিভিন্ন সমস্যার কারণে এই উপদ্রব শুরু হয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশ কিছু ভুল এই সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
যে কারণে শিরশির করে দাঁত
শরীরে অ্যাসিড জমা থাকলে, ব্রাশ করার ভুল থেকে বা দাঁত ভেঙে গেলে, পুরনো ফাইলিংয়ের কারণে, এনামেল ক্ষয়প্রাপ্ত হলে, দাঁত সাদা করা প্রক্রিয়ার কারণে, দাঁতের ফিলিং উঠে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে দাঁত শিরশির করতে পারে।
এ ছাড়া আরো কিছু কারণে দাঁত শিরশির করতে পারে। সেগুলো হচ্ছে— গরম খাদ্য ও পানীয় পান, ঠাণ্ডাজাতীয় খাদ্য ও পানীয় পান, ঠাণ্ডা বাতাস লাগা, মিষ্টিজাতীয় খাদ্য ও পানীয় পান, টকজাতীয় খাদ্য ও পানীয় পান, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে দাঁত পরিষ্কার এবং অ্যালকোহলসমৃদ্ধ মাউথ ওয়াশের কারণেও দাঁত শিরশির করতে পারে।
প্রতিকার
দাঁত শিরশির করার চিকিৎসা নির্ভর করে দাঁত শিরশির করার কারণের ওপর। এ জন্য দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
অনেকেই নানা টুথব্রাশ, টুথপেস্ট ও মাউথওয়াশ পাল্টে এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চান। তবে তাতে সব সময়ে যে সমাধান মেলে, এমন নয়। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পাশাপাশি বাড়িতেও নিতে হবে দাঁতের বাড়তি যত্ন।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের মেডিকেটেড টুথপেস্ট পাওয়া যায়, যা শিরশির রোধ করে।এ ছাড়া কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। সেগুলো হচ্ছে— সঠিক উপায়ে দাঁত পরিচর্যা করা, টকজাতীয় খাদ্য না খাওয়া, ফ্লুরাইডেটেড ডেন্টাল সামগ্রী ব্যবহার করা।
তবে, ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে, যেগুলো অনুসরণ করলে দাঁতে শিরশির থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
মধু ও লবণ
এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ মধু ও সামান্য লবণ মেশান। সকালে মুখ ধোয়ার পর এই পানি দিয়ে কুলকুচি করুন। পানি কিছুক্ষণ মুখে রেখে নাড়াচাড়া করে ফেলে দিন।
লবণপানি
মধু ছাড়া শুধু লবণ দিয়েও কাজ সারা যায়। দাঁতের জন্য লবণপানি বেশ উপকারী। দুই বেলা লবণপানিতে কুলকুচি করুন। এতে দাঁতের ফাঁকের খাবার ধুয়ে যায় তো বটেই, সঙ্গে দাঁতের ছোটখাটো সমস্যা, দাগ এ সবও অনেকটা ফিকে হয়। শিরশিরানির সমস্যাও দূর হয়।
লবঙ্গ তেল
লবঙ্গ তেল দাঁতের গোড়ায় লাগিয়ে রাখলে বিশেষ উপকার পাবেন। ইউজেনল থাকায় এটি দাঁতের ব্যথা উপশম করে। গ্রিন টি-তে লবঙ্গ ফেলে সেই মিশ্রণ দিয়েও কুলকুচি করতে পারেন।
ক্যাপসাইসিন জেল
মরিচে কতটা ঝাল হবে, তা নির্ভর করে তাতে থাকা ক্যাপসাইসিনের ওপর। প্রদাহ ও ছোটখাটো সংক্রমণ ঠেকাতেও এটি কার্যকর। যাতে ক্যাপসাইসিন রয়েছে, এমন মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।