গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স এবং গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ একই জাতীয় সমস্যার দুটো ভিন্ন রূপ। প্রথমটি সুস্থ, স্বাভাবিক বাচ্চার ক্ষেত্রে একটা রোগবিহীন উপসর্গ। আর দ্বিতীয়টি বিভিন্ন উপসর্গ, জটিলতাসহ দেখা দেয়। পাকস্থলীর উপাদান যখন খাদ্যনালিতে চলে আসে তখন সেটাকে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স বা জিইআর বলে।
কখনো কখনো তা মুখ দিয়ে বের হয়ে আসতে পারে যাকে বমি মনে হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি বমি নয়। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসারও প্রয়োজন নেই। পক্ষান্তরে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ একটা রোগ, যার চিকিৎসা লাগে।
কারণ
খাদ্যনালির নিম্নভাগে অবস্থিত স্ফিংটারের ক্ষণস্থায়ী দুর্বলতাই প্রধানত দায়ী। এ ছাড়া কম বয়স, প্রি-ম্যাচিউরিটি, শোয়া অবস্থানে খাওয়ানোকে দায়ী করা যায়। এক বছরের কম বয়সী বাচ্চা (স্বাভাবিক প্রক্রিয়া) বা প্রি-ম্যাচিউর বাচ্চার ক্ষেত্রে এই রোগ বেশি দেখা দেয়।
লক্ষণ
♦ খাবার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসা (সঙ্গে বমি থাকতে পারে)
♦ ওজন না বাড়া
♦ খাদ্যনালির প্রদাহ
♦ বুকজ্বলা, বুক ও পেট ব্যথা
♦ অ্যাজমা বা হাঁপানি বা দীর্ঘমেয়াদি কাশি
♦ বারবার নিউমোনিয়া
♦ দন্তক্ষয়
♦ রক্তশূন্যতা
♦ খাবারে অনীহা
এ ছাড়া সাইনোসাইটিস, খাদ্যনালি বন্ধ হয়ে যাওয়া, হঠাৎ দম বন্ধ হয়ে যাওয়া, খাবার গিলতে ব্যথা হওয়া এবং রক্তবমি হতে পারে।
করণীয়
খাবারের সময় বাচ্চার অবস্থান সংশোধন ্য খাবারের পর বার্পিং করা এবং সোজা অবস্থানে রাখা ্যঅল্প অল্প করে খাবার দেওয়া ্যশস্যদানা বা সিরিয়াল মিশিয়ে খাবারকে ঘন করে দেওয়া ্যকম অ্যালার্জিযুক্ত খাবার দেওয়া ্যবেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার দেওয়া ্যস্থূলকায় বাচ্চাদের ওজন কমানো ্যমুখ ভিন্ন অন্য পথে খাবার দেওয়া ইত্যাদি।
শিশু বিশেষজ্ঞরা সাধারণত রোগের ইতিহাস ও শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমেই ডায়াগনসিস করতে পারেন। চিকিৎসক চাইলে এর সঙ্গে এক বা একাধিক ওষুধ যোগ করতে পারেন। কোনো কিছুতেই কাজ না হলে অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. খন্দকার মোবাশ্বের আহমেদ
কনসালট্যান্ট, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।