লক্ষণ
* খিঁচুনি-পূর্ব অন্য রকম অনুভূতি বা মাংসপেশির চালনা।
* মাংসপেশির অনৈচ্ছিক চালনা।
* জ্ঞান হারানো।
* নিয়ন্ত্রণহীন প্রস্রাব বা পায়খানা।
করণীয়
কিছু খিঁচুনির জন্য তাৎক্ষণিক মেডিক্যাল ব্যবস্থাপনা লাগে। আর কিছু খিঁচুনি বাসায় ম্যানেজ করা যায়। যদি খিঁচুনি হয়—
* আস্তে-ধীরে শিশুকে মাটিতে বা বিছানায় শুইয়ে আশপাশের ধারালো যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেওয়া।
* মাথা ও গলায় পেঁচিয়ে থাকা কাপড় আলগা করে দেওয়া।
* শিশুর খিঁচুনি রোধে হাত-পা ধরে না রাখা, এতে খিঁচুনি আরো দেরিতে বন্ধ হয়।
* শিশুর মুখের ভেতর কিছু না রাখা, জোর করে মুখ খুলতে গেলে দাঁতে মাড়িতে ইনজুরি হতে পারে।
* শিশুকে এক পাশ করে শুইয়ে দিতে হবে।
* যদি বমি করে, তবে মাথা নিচু রেখে এক পাশ করে রাখা, যাতে করে বমি ওপাশ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে। অথবা হাতের আঙুলে বমি বের করে আনা।
* শিশুকে কিছুই পান করতে না দেওয়া।
* খিঁচুনির পর শিশুকে ঘুমাতে দেওয়া।
* শিশু চিকিৎসককে খবর দেওয়া।
ইমার্জেন্সি ব্যবস্থাপনা যদি—
* খিঁচুনি যদি পাঁচ মিনিটের বেশি হয় বা বারবার খিঁচুনি হতে থাকলে।
* শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা।
* ঠোঁট, মুখ, জিহ্বা নীলচে বর্ণ ধারণ করলে।
* খিঁচুনির পরবর্তীতে কয়েক মিনিটের বেশি অজ্ঞান থাকলে।
* খিঁচুনির আগে বা পরে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেলে।
* বেশ অসুস্থ মনে হলে।
* এমন উপসর্গ যা বেশ ভাবনার।
প্রতিরোধ ব্যবস্থা—
* পর্যাপ্ত বিশ্রাম।
* ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে খিঁচুনি নিরোধক ওষুধ সেবন করানো।
পরামর্শ দিয়েছেন—
প্রফেসর ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।