বর্ষায় মশার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। এ সময় মশাবাহিত নানা রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই এ মৌসুমে ছোট-বড় সবারই সতর্ক থাকা জরুরি। রাজধানীতে এরই মধ্যে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। তাই এখন বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা ও মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
আর অবশ্যই মশার কামড় থেকে শিশুকে বাঁচাতে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হয়। শিশুদের ত্বক কোমলতর। কাজেই বড়দের ক্ষেত্রে মশার কামড়ে যা লাগানো যায়, শিশুদের ত্বকের ক্ষেত্রে সেই সব উপাদান প্রযোজ্য না-ও হতে পারে। তা ছাড়া, শিশুদের সহ্যশক্তি কম। তাই মশার কামড়ে যত দ্রুত আরাম মেলে, ততই ভালো।
মশা কামড়ালে যা করা যেতে পারে
১. ঘরোয়া টোটকা হিসাবে সমপরিমাণ খাবার সোডা ও পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট লাগিয়ে দিতে পারেন ক্ষতের উপর।
২. চুলকানি বেশি হলে বরফের টুকরো লাগাতে পারেন।
৩. বাড়িতে অ্যালো ভেরা গাছ থাকলে, তার শাঁসও লাগাতে পারেন। এতেও কমবে জ্বালাপোড়া।
যা করবেন না
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকাংশ ক্যালামাইন ও প্র্যামকসিনসমৃদ্ধ মলমই মশার কামড় থেকে তৈরি হওয়া ব্যথা ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে যে সব মলমে অ্যানাস্থেটিক ও অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় উপাদান থাকে, তা ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া জরুরি।