নাসিম রুমি: এই বৃষ্টি তো এই কাঠফাটা রোদ। প্রকৃতির এমন অদ্ভুত আচরণের প্রভাব পড়ছে শরীরে। আবহাওয়ার কারণে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একাধিক ভাইরাস। ফলে ঘরে ঘরে দেখা দিচ্ছে ভাইরাল ফিভার।
এই জ্বরের কবলে একবার পড়লে মোটামুটি ৩ থেকে ৭ দিন ভুগতে হয়। জ্বর কমে গেলেও থেকে যাচ্ছে কাশি, শারীরিক দুর্বলতার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা। জ্বরে ভুক্তভোগীদের তাই সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাদের মতে জ্বরে আক্রান্ত হলে খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যা খেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা যাবে। চলুন জেনে নিই কী খাবেন-
চিকেন স্যুপ
দ্রুত সুস্থ হতে চাইলে প্রতিদিন অন্তত একবার চিকেন স্যুপ খেতে হবে। কেননা প্রোটিন, পানি আর ইলেকট্রোলাইটসের ভাণ্ডার এটি। এতে আরও রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত চিকেন স্যুপ খেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।
উপকারি আদা
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, আদা মহৌষধি। একাধিক ছোট-বড় রোগের চিকিৎসায় আদা সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এই মসলাটিতে এমন কিছু প্ল্যান্ট কম্পাউন্ড রয়েছে যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দারুণ কাজ করে। এমনকী ইমিউনিটিকে চাঙ্গা রাখার কাজেও এই ভেষজের জুড়ি মেলা ভার। তাই জ্বর থেকে দ্রুত সেরে উঠতে কয়েক টুকরো আদা পানি দিয়ে গিলে খান। উপকার মিলবে।
ভিটামিন ডি’যুক্ত খাবার
ভিটামিন ডি কেবল হাড়ের জোর বাড়ায় না। এটি ইমিউনিটিকেও চাঙ্গা রাখে। শরীরে এই ভিটামিনের অভাব মেটাতে পারলে করোনা, ফ্লু কিংবা ভাইরাসের ফাঁদও এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে জানাচ্ছে হেলথলাইন। তাই জ্বর যেন কাবু না করতে পারে সেজন্য খাদ্যতালিকায় রাখুন কড লিভার অয়েল, মাছ, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ওটস, আমন্ড এবং সয়াবিন দুধ। তাহলেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
দইয়ের বিকল্প নেই
উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভাণ্ডার দই। এসব ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের বেহাল দশা কাটানোর কাজে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সেসঙ্গে বাড়ায় ইমিউনিটিও। জ্বরে ভুক্তোভোগীরা অবশ্যই প্রতিদিনের পাতে দই রাখুন। তবে মিষ্টি দই খেলে হবে না। বরং বাড়িতে পাতা টক দই খান। এতেই স্বাস্থ্যের বেহাল দশা কাটিয়ে উঠতে পারবেন দ্রুত।
ভিটামিন সি’যুক্ত খাবার
ভাইরাল ফিভার থেকে দ্রুত সুস্থ হতে চাইলে ইমিউনিটি বাড়াতেই হবে। এই কাজে সাহায্য করতে পারে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কিছু ফল, শাক ও সবজি। খাদ্যতালিকায় রাখুন লেবু, ব্রকোলি, কিউই, পেয়ারা, পলাং শাক, কেলে শাক ইত্যাদি। এতেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। ফিরবে স্বাস্থ্যের হাল।