করোনাভাইরাস মহামারির দুই বছর হয়ে গেছে। এখনও জানা নেই, কবে শেষ হবে এ বিপদ। এ অবস্থায় আমেরিকা-ইউরোপের অনেক দেশ ঘোষণা করেছে, অতিমারিকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে। এই যুক্তিতে করোনা-বিধি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য এক-এক করে সমস্ত করোনা-বিধি তুলে দিচ্ছে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের মধ্যে মাস্ক পরার নিয়মও উঠে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যও জানিয়েছে, দু’সপ্তাহের মধ্যে পুরনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে তারাও। এ ধরনের পদক্ষেপে মোটেই খুশি নয় ডব্লিউএইচও। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে এখনো দৈনিক সংক্রমণ মাত্রাছাড়া। দু’হাজারের বেশি দৈনিক মৃত্যু হচ্ছে এখনো। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলে আসছেন, যত বেশি সংক্রমণ ঘটবে, তত বেশি নতুন ধরন তৈরি হওয়ার আশঙ্কা। এর মধ্যেই করোনা-বিধি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
টিকার বৈষম্য নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র যখন চতুর্থ ডোজ় দেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে, আফ্রিকা তখনও টিকার প্রশ্নে অন্ধকারে। সৌম্য জানিয়েছেন, ৮৫ শতাংশ আফ্রিকান এখননো প্রথম ডোজই পাননি। একে টিকাহীন, তার ওপরে করোনা পরীক্ষাও তেমন হচ্ছে না এই মহাদেশে। এই অবস্থায় নতুন ধরন তৈরির আশঙ্কা প্রবল।
সৌম্য এ-ও বলেছেন, ধীরে ধীরে এ ভাইরাসের সঙ্গে বাঁচতেই শিখতে হবে মানুষকে। তবে তার আগে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও বিজ্ঞান-শিক্ষা, এই দুই বিষয়েই সচেতন হতে হবে।