প্রায় ১৮০টি করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা নীরিক্ষা চালানো হচ্ছে সারাবিশ্বে। তবে এখনও কেউ শেষ লক্ষ্যে পৌঁছায়নি।
অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটি মানুষের ফুসফুসকে আক্রমণ করে মারাত্মকভাবে, এজন্য সরাসরি ভ্যাকসিনের ডোজ ফুসফুসে সরবরাহ করা হলে তা আরও ভালো প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারবে।
তাই তারা এবার নিঃশ্বাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করেছেন।
ইতোমধ্যে দুইটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষক দল। এর একটি সম্প্রতি ট্রায়াল বন্ধ রাখা হয়েছে। আরেকটি জুনে মানব শরীরে পরীক্ষা শুরু করেছে।
হাঁপানির ওষুধ নেবুলাইজার মেশিন দিয়ে শরীরে প্রয়োগ করার মতো প্রায় ৩০ জন স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবককে একটি স্প্রে বা অ্যারোসোল হিসেবে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
গবেষণার প্রধান গবেষক ড. ক্রিস চিউ জানান, করোনা মহামারিটি শ্বাসকষ্ট সংশ্লিষ্ট ভাইরাসের কারণে ঘটে, যা মূলত নাক, গলা ও ফুসফুসের কোষগুলোর মাধ্যমে মানুষকে সংক্রামিত করে। এসব অঙ্গে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে ভিন্ন। তাই ফুসফুসের বায়ুথলিতে সরাসরি প্রতিষেধক পাঠানো হলে তা মাংসপেশিতে ইনজেকশন করা একটি ভ্যাকসিনের তুলনায় কার্যকর প্রতিক্রিয়া সরবরাহ করতে পারে কি না. তা পরীক্ষা করে দেখা জরুরি।’
সূত্র: বিবিসি
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন