বায়ুদূষণে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় তিন বছর। নিকট প্রতিবেশী ভারত, মিয়ানমার ও ভুটানের বায়ুদূষণের পরিস্থিতি বাংলাদেশের তুলনায় ভালো।
‘বৈশ্বিক বায়ু পরিস্থিতি-২০২০ : বায়ুদূষণ কিভাবে বিশ্বজুড়ে আয়ুর ওপর প্রভাব ফেলছে’ নামের এক গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য। গতকাল বুধবার প্রকাশিত এ গবেষণাটি যৌথভাবে চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট ও ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন।
দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বায়ুদূষণে সবচেয়ে বেশি গড় আয়ু কমেছে নেপালের মানুষের। হিসাবে ৩.০৫ বছর।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা গেছে, বায়ুদূষণে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে পাপুয়া নিউ গিনি ও নাইজার। দেশ দুটিতে যথাক্রমে গড় আয়ু কমেছে ৩.২ বছর ও ৩.১ বছর।
২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে বাতাসের মান সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত থেকে প্রস্তুত করা হয়েছে প্রতিবেদনটি। এতে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণে বাংলাদেশে গড় আয়ু কমেছে ২.৯১ বছর। এর মধ্যে বাহ্যিক বায়ুদূষণে গড় আয়ু কমেছে ১.১৬ বছর, আর অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণে কমেছে ১.৫৩ বছর।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে, বর্তমানে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২.৬ বছর।
গোটা বিশ্বেই বায়ুদূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু কমেছে। গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বায়ুদূষণে বৈশ্বিক গড় আয়ু কমেছে এক বছর আট মাস।
প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে বায়ুদূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু সবচেয়ে বেশি কমেছে দক্ষিণ এশিয়া, সাব সাহারা ও ওশেনিয়া অঞ্চলে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, বায়ুদূষণে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়।
গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, চীনে বায়ুদূষণের কারণে গড় আয়ু কমেছে ১.৮৫ বছর। এ ছাড়া ভুটান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও মিয়ানমারে কমেছে যথাক্রমে ২.০৯, ২.৮৩ বছর, ২.৬৬ বছর ও ২.৬১ বছর করে।
তামাক গ্রহণে মানুষের গড় আয়ু যতটা কমে, বায়ুদূষণেও ঠিক সে মাত্রায়ই কমে বলে উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণাটিতে। এতে আরো বলা হয়, বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে মানুষের গড় আয়ুর ওপর বায়ুদূষণের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। সূত্র : স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার