বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনে একজন সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত বলে তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস (বিপিএ)।
রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বলরুমে ‘সিজোফ্রোনিয়া গাইডলাইন’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
মনোচিকিৎসকরা বলেন, বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মধ্যে একজন সিজোফ্রেনিয়া রোগী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, সাইকোলজিস্ট ও অন্যান্য মেন্টাল হেলথ প্রফেশনাল এবং মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টসের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ তারিকল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রি. জে. (অব.) অধ্যাপক মো. আজিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বব্যাপী যেমন মানসিক রোগ বাড়ছে, বাংলাদেশেও তেমনি বাড়ছে। অনেকে সামাজিক লজ্জার কারণে চিকিৎসা নিতে চান না। মানসিক রোগের কারণেই প্রতিবছর ১৭ থেকে ২০ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করছে। বিষণ্নতা থেকে সামাজিক, পারিবারিক নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। দেশে মানসিক স্বাস্থ্য আইন আছে, মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। পাবনা মানসিক হাসপাতাল আরও বিস্তৃত করার কাজ চলছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে দেশব্যাপী। আটটি বিভাগে আটটি হাসপাতালে মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সিজোফ্রেনিয়ার সব রোগী যেন চিকিৎসা পায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস অনেক পরিশ্রম করে এই গাইডলাইন তৈরি করেছে। গাইডলাইনটি যাতে উপজেলা পর্যন্ত সবাই ব্যবহার করে সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সচেষ্ট থাকবে।