তীব্র গরমের পর বর্ষার এই আবির্ভাব কিন্তু বেশকিছু রোগের সংক্রমণ নিয়ে আসে। সেই তালিকায় সর্দি, কাশি, ভাইরাল জ্বর এবং পেট খারাপের মত রোগ রয়েছে। তবে যদি কিছু নিয়ম মেনে চলা যায়, তবে অতি সহজেই রেহাই পাওয়া যাবে এই সংক্রমণ থেকে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক বিষয়গুলো—
আর্দ্রতার কারণে ছত্রাক বৃদ্ধি পায়। তাই ত্বক পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। pH ব্যালেন্স যুক্ত বডি ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। ঘাম এবং নোংরা দূর করতে দিনে দুবার গোসল করা প্রয়োজন।
বর্ষায় অতিরিক্ত তেল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে। বাইরের নোংরা শুষে নেয় তেল। তাই এই সময় পানিযুক্ত বা জেল বেসড ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
সপ্তাহে দুবার ত্বকের যত্নে হালকা এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করুন। এক্সফোলিয়েশন ত্বকের মৃত কোষগুলোকে সরিয়ে দেয়। ছত্রাক জমতে দেয় না। ত্বক নরম এবং কোমল হয়।
গোসল বা এক্সফোলিয়েটরের পরই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ত্বক যেন কোনওভাবেই রুক্ষ না হয়ে যায়। এতে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে।
শরীরচর্চার পর গোসল করতে হবে। বদলে ফেলতে হবে পোশাক। পরিস্কার জামাকাপড় পরতে হবে। ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে ঘর্মাক্ত পোশাকে।
ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন তোয়ালে, সাবান, জামা, জুতো কাউকে দেবেন না। এই ধরনের জিনিস থেকে সহজেই ফাঙ্গাস ছড়িয়ে পড়ে।
কী ধরনের পোশাক পরবেন সেদিকেও নজর দিতে হবে। সুতি, লিনেনের মতো নরম পোশাক পরতে হবে। অন্তর্বাসও পরতে হবে সুতির। যাতে ঘাম কম হয়। এতে ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কাও কম থাকে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সবক্ষেত্রে। বাড়ি ঘরতো বটেই শোয়ার ঘরও পরিষ্কার রাখতে হবে।
মানসিক চাপের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে। তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তাই যোগাসন, শরীরচর্চাসহ পছন্দে কাজ করতে হবে। এমন কাজ যা স্ট্রেস কমাতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এই সময়। পাশাপাশি ডায়েটে রাখতে হবে প্রোবায়োটিক। দিনভর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে শরীর সার্বিকভাবে সুস্থ থাকবে।