দেশে করোনায় প্রতিদিনই আগের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটা মহামারিকালে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে চলতি বছরের ২৬শে জুলাই ২৪৭ জনের মৃত্যুর রেকর্ড ছিল। নতুন মৃত্যু নিয়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ হাজার ৭৭৯ জনে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৯২৫ জন। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৪৩৯ জন এবং এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ২২ হাজার ৪১৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, ৬৩৯টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ হাজার ১৫৯টি নমুনা সংগ্রহ এবং ৫২ হাজার ৪৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচানয় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
এদিকে বিভাগ ভিত্তিক শনাক্তের হার বিশ্লেষণে দেখা যায়, একদিনে দেশের মোট শনাক্তের ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশ রোগী রয়েছেন ঢাকা বিভাগে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৮৪ জন। শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১৮৮ জন। এই বিভাগে শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৬০ শতাংশ। মারা গেছে ৪১ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন ১১ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫৬৭ জন। শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। চট্টগ্রামে মারা গেছেন ৬১ জন। এ বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪৮৭ জন। শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ। রাজশাহীতে মারা গেছেন ২১ জন। শনাক্ত হয়েছে ৮৮১ জন। শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। রংপুর বিভাগে মারা গেছেন ১১ জন। শনাক্তের সংখ্যা ৮৩৭ জন। শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। খুলনা বিভাগে মারা গেছেন ৫০ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪৩৫ জন। শনাক্তের হার ২৮ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন ১৩ জন। শনাক্তের সংখ্যা ৮২২ জন। শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। একই সময়ে সিলেট বিভাগে মারা গেছেন ৭ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭০৮ জন। শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ।