ডাবের পানিতে কম ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা পেটে প্রশান্তি দেয়। এতে উপস্থিত পটাশিয়াম ও জৈব এনজাইম খাবার হজমে দারুন কাজ করে। ডাবের পানিতে কার্বোহাইড্রেট তেমন না থাকলেও তা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
অন্য যে কোনো ফলের রসের তুলনায় ডাবের পানিতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে মিনারেল থাকে। বেশিরভাগ ফলের রসে থাকে অত্যধিক চিনি। যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়।
অন্যদিকে ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ থাকে একেবারেই কম। এই পানি অত্যন্ত পুষ্টিকর, যা ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা স্থিতিশীল করে। ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে ডাবের পানি।
মেটাবলিজম বাড়ায়
ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, পটাশিয়াম ও এনজাইম থাকে। যা মেটাবলিজম বাড়ায়, ফলে ক্যালোরিও সহজে বার্ন হয়।
ধীর বিপাক ধীর হজমের দিকে পরিচালিত করে, যা স্থূলতার কারণ হতে পারে। স্বাস্থ্যকর হজমের জন্য ডাবের পানি হতে পারে সেরা বিকল্প।
অতিরিক্ত খাওয়া কমায়
ডাবের পানিতে লরিক অ্যাসিড থাকে, যা অতিরিক্ত খাওয়া কমাতে সাহায্য করে। এই পানিতে একেবারেই চর্বি থাকে না।
সকালে ডাবের পানি পান করে দিন শুরু করলে পেট অনেকটাই পরিপূর্ণ অনুভব হবে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমবে।
এতে থাকা পটাশিয়াম ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করে দিতেও সাহায্য করে ডাবের পানি।
ডাবের পানি কখন পান করবেন?
ডায়েটিশিয়ান বিধি চাওলার মতে, এটি খালি পেটে খুব সকালে খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত চর্বি ঝরানোর জন্য দিনে ৩ বার ডাবের পানি পান করতে পারেন।
সামগ্রিকভাবে এই পানি ওজন কমানোর পাশাপাশি শক্তির মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে। এমনকি কিডনি, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে দারুন উপকারী ডাবের পানি।