দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রতি ৯৯০ জনের বিপরীতে একটি বেড রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি জানান, ২০২২ সালের হেলথ বুলেটিনের তথ্যানুযায়ী দেশে সরকারি হাসপাতালে বেড সংখ্যা ৭১ হাজার ৬৬০টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে বেড সংখ্যা ৯৯ হাজার ৯৭৫টি।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশে প্রতি ৫০ জন লোকের বিপরীতে সরকারি হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ০.০২১১। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে পর্যায়ক্রমে বেড সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ বি এম আনিছুজ্জামানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের নিম্ন আয়ের জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ও চিকিৎসা সেবা আরও উন্নত করার লক্ষ্যে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধির (৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় এবং ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ) প্রক্রিয়া, শূন্য পদে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ, বিভিন্ন সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ-ব্যাধির আধুনিক চিকিৎসা ও প্রতিরোধের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সামগ্রী দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের গত তিন মেয়াদে দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে ৮টি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসমূহে হৃদরোগ, ক্যান্সার ও কিডনি রোগের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিশেষায়িত স্বতন্ত্র ইউনিট নির্মাণ করা হচ্ছে। মুমূর্ষু রোগীদের সুচিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালসমূহে পর্যায়ক্রমে করোনারি কেয়ার ইউনিট, ডায়ালাইসিস ইউনিট ও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশেষায়িত হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতালে সকল রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে ১০ শয্যার আইসিইউ নির্মাণের প্রকল্প চলমান রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।