দেশে করোনা রোগীর পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীও বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৭৫ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ হাজার ৫৬১ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন।
তবে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি রাজধানীতে। পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী, দোলাইরপাড়, শনির আখড়া, জুরাইন ও মুরাদপুর ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে পরিণত হয়েছে। জুরাইনের অবস্থা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এই এলাকায় গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত আট জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর।
জানা গেছে, এই এলাকাটি অপেক্ষাকৃত নিচু হওয়ায় এখানকার বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিে পানি জমে জন্ম নিচ্ছে এডিস মশা। ফলে মশক নিধন পদ্ধতি এখানে তেমন কাজ করছে না বলে জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কাবিরুল বাশার বলেন, জুরাইনের যে বাড়িগুলো আছে, সেগুলোর নিচতলা রাস্তার থেকেও প্রায় এক কোমর নিচে। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় এসব বাসার নিচতলায় পানি জমে গেছে এবং এই জায়গাগুলোতেই বেশি এডিস মশা হচ্ছে। এটাই হচ্ছে জুরাইনের মূল সমস্যা।