স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, ‘দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত তৃতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার অনুমোদন দেয়নি। অনুমোদন দিলে বাংলাদেশও তা অনুসরণ করবে।’
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য করোনা টিকার বিশেষ কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
টিকা কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরও বলেন, ‘টিকা নেওয়ার পর টিকা গ্রহণের সনদ দেওয়ার একটি বিষয় রয়েছে। সেজন্যই মূলত টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা। রেজিস্ট্রেশনের এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশ্লিষ্ট। সেজন্য যাদের এনআইডি আছে প্রাথমিকভাবে তাদেরকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। যাদের এনআইডি নেই তাদের জন্ম নিবন্ধন কার্ডের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাদের দুটোর কোনটাই নেই তাদেরকে অনুরোধ করবো, তারা যেন শিগগির এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে টিকার আওতায় আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে টিকাগুলোর অনুমোদন দিয়েছে এবং যাদেরকে যখন টিকা দেওয়ার অনুমোদন দিচ্ছে আমরা সেভাবেই অনুসরণ করছি। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য একটি টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিয়েছে, সেই টিকাটা আমাদের দেশে এখন আছে। এই টিকাগুলো দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে কবে, কোথায়, কিভাবে কমবয়সীদের টিকা দেওয়া হবে।’