ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাপা সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের নাপা সিরাপে ক্ষতিকারক কিছু মেলেনি বলে জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। আজ সোমবার দুপুরে অধিদপ্তরে করা এক সংবাদ সম্মেলনে এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ এ তথ্য জানান।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যে ওষুধের দোকান থেকে বেক্সিমকোর নাপা সিরাপ সেবনের পর দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছিল সেই দোকান থেকে সংগৃহীত ওষুধের মান পরীক্ষা করে দেখা গেছে ওষুধটির গুণগত মান সঠিক ছিল।
তিনি বলেন, মা ফার্মেসি নামের ওই দোকান থেকে আটটি বোতল সংগ্রহ করা হয়।
তার মধ্যে সবগুলোতেই ফলাফল ‘পজিটিভ’ এসেছে। এই সিরাপে ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি।
মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, সারা দেশ থেকে নাপা সিরাপের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ক্ষতিকারক কিছু পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে ইটভাটা শ্রমিক সুজন খানের দুই শিশুসন্তান ইয়াছিন খান এবং মোরসালিন খান জ্বরে আক্রান্ত হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির পাশের বাজারের ‘মা ফার্মেসি’ থেকে বেক্সিমকোর তৈরি নাপা সিরাপ নিয়ে শিশুদের সেবন করান। এরপর ওই দুই শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের রাতেই আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এ অবস্থায় বাড়ি ফেরার পথে ইয়াছিন ও বাড়িতে ফেরার পর মোরসালিন মারা যায়।
মারা যাওয়া দুই শিশুর চাচা ফোরকান ও উজ্জল মিয়া জানান, নাপা সিরাপ খাওয়ানোর পরেই তারা মারা গেছে। একই ঘরে দুই সহোদরের মৃত্যুর ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।