English

21 C
Dhaka
শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫
- Advertisement -

দাঁতে শিরশির দূর করবে ঘরোয়া যে উপায়

- Advertisements -

যেকোনো জিনিসই যত্নের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের শরীরের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি অঙ্গ দাঁতও তেমনই। দাঁতের যত্ন না নিলে অনেক অসুবিধায় পড়তেই হয়। আর দাঁতে ব্যথা ঠিক কতটা কষ্টকর তা যার হয়েছে তিনিই কেবল জানেন।

কিন্তু দাঁতের সমস্যা মানেই তো শুধু যন্ত্রণা নয়। আরো একাধিক সমস্যা দেখা দেয় দাঁতে। যেমন- দাঁতে শিরশিরানি অনুভূত হওয়া। মূলত দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে গেলে এই সমস্যা তীব্রভাবে দেখা যায়।
শুধু ঠাণ্ডা খাবার খেলেই যে দাঁতে শিরশিরানি হবে তা কিন্তু নয়। গরম খাবারেও হতে পারে। আর দাঁতের এনামেল যদি বেশি ক্ষয়ে যায় তাহলে যা কিছু খাবেন, তখনই দাঁত শিরশির করবে। এই সমস্যা একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়।

তবে বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমেও দাঁতের শিরশিরানির সমস্যা কমানো সম্ভব। কী সেই টোটকা, চলুন দেখে নেওয়া যাক—

হাল্কা গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে মুখ কুলকুচি করার অভ্যাস রাখুন। দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার। তবে খাবার খাওয়ার পরেই করবেন না। তাহলে বমি হয়ে যেতে পারে কিংবা গা-গোলাতে পারে।

দাঁতে ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল। দিনে দুই বার নারকেল তেল দিয়ে দাঁতে আলতো হাতে মালিশ করে নিন। তারপর ব্রাশ করে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

দাঁতের জন্য লবঙ্গ তেলও খুবই ভালো। তাই যাদের দাঁতে ব্যথা ও শিরশিরানির সমস্যা রয়েছে তারা লবঙ্গ তেল দিয়ে মালিশ করতে পারেন, যে অংশে সমস্যা হচ্ছে সেখানে। উপকার পাবেন। তবে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।

পেয়ারা পাতা চিবালে দাঁতের অনেক সমস্যা দূর হয়। যদি দাঁতে সহ্য করার মতো ব্যথা থাকে তাহলে পেইনকিলার খাওয়ার আগে একবার পেয়ারা পাতা চিবিয়ে দেখতে পারেন। ব্যথা কমবে। দাঁতের শিরশিরানিও কমে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে নিলে। আর দাঁতে ব্যথা কিংবা অন্যান্য যেকোনো সমস্যাতেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একেবারেই ওষুধ খাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

হাল্কা গরম পানিতে অল্প মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এই পানীয় দাঁত ও মাড়ির খেয়াল রাখে। ব্যথা, শিরশিরানি কমায়। মুখের ভেতর কোনো ঘা হলে এই পানীয় খেলে সহজে কমে যায়।

যখন যা খাবেন (পানি ছাড়া) তারপর অবশ্যই মুখ ধুয়ে নিন কুলকুচি করে। চা খেলেও মুখে ধুয়ে নেওয়া উচিত। দিনে অন্তত দুই বার মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করুন। এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন। এ ছাড়া দাঁতের এনামেল যাতে ঠিকভাবে বজায় থাকে, তাই বিশেষ টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। তবে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে তারপর।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন