প্রকৃতিতে লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। ঋতুবদলের খামখেয়ালিপনা আমাদের ত্বকে বেশি প্রভাব পড়ে। এর বাইরে নিত্যদিনের ব্যস্ততা, অনিয়মিত যত্ন, এসব তো আছেই! তবে মাঝেমধ্যে একটু-আধটু যত্ন নিলেই সমস্যা মিটে যাবে। দেখে নিন পরামর্শ।
আর্দ্রতা মোকাবিলা
শীত ও গ্রীষ্ম; মূলত এই দুই ঋতু পরিবর্তনের ধাক্কায় আর্দ্রতার অনেকটা পার্থক্য হয়ে যায়। এই কারণেই, শীতের শেষে বসন্তকালেও ত্বক থাকে শুষ্ক-রুক্ষ। তাপমাত্রা বাড়তে থাকলেও বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ তখনো বেশ কম থাকে। তবে সমস্যা হলো, তাপমাত্রা বেড়ে গেছে ভেবে আমরা ত্বক নিয়ে মাথা ঘামাই না। ফলে রুক্ষতা বাসা বাঁধে। হারায় ত্বকের সজীবতা। একইভাবে সময় শরৎ থেকে শীতের দিকে এগোচ্ছে, সেই সময়ও রূপরুটিনে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনুন। এতে ত্বকও ঋতুবদলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সময় পাবে।
রোদের অদল-বদল
সানস্ক্রিন সারা বছর প্রয়োজন, এ কথা সবাই জানেন। কিন্তু কজন মানেন? এর সংখ্যাটাও কম। রোদের তাপ কমতে থাকলে সানস্ক্রিনের প্রয়োজনীয়তার কথা ভুলে যান অনেকেই। কিন্তু সমস্যাটা কেবল রোদ নয়। আসল সমস্যা সূর্যের আলো। আবহাওয়া যেমনই হোক, অন্ধকার না নামা অবধি ত্বকে সূর্যরশ্মির প্রবেশ ঘটে। ক্ষতি আটকাতে চাইলে দিনের আলো থাকাকালীন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি।
ত্বকের সংক্রমণ রোধে
শুধু বর্ষাকালেই সংক্রমণ হবে, এমনটা নয়। বছরের অন্যান্য সময়ও ত্বকে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে, বিশেষত বৃষ্টি বা বেশ কয়েক দিন সূর্যের দেখা না পেলে নিমপাতা, কর্পূর, তুলসী, পুদিনা ইত্যাদি গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিতে পারেন।
শরৎ থেকে শীত মৌসুম
এখন ধীরে ধীরে রূপরুটিনে আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়াতে শুরু করুন। প্রথমে ত্বক পরিষ্কার করতে জেল বেসড ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। তাপমাত্রা কমলে ক্রিম-বেসড ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত দুইবার স্ক্র্যাবিং করুন। এই সময় টোনারের ব্যবহারও জরুরি। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ত্বকের পোরস খোলা থাকে। ফলে অল্পতেই ধুলোবালি জমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। পোরস পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত অ্যান্টিসেপটিক (নিম, তুলসী, হলুদযুক্ত) টোনার ব্যবহার করুন। এরপর ত্বকে হালকা কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
স্কিনকেয়ার মাস্ট
বছরের বিভিন্ন সময় ত্বকের চাহিদা অনুযায়ী যেমন রূপরুটিন পাল্টাবেন, তেমনি এমন কিছু প্রসাধনী রয়েছে, যা সারা বছরই থাকে। ত্বক ভালো রাখতে নিয়মিত এসব ব্যবহার করুন। যেমন- সানস্ক্রিন, আন্ডার-আই ক্রিম, ময়েশ্চারাইজার ক্রিম, লিপ বাম ইত্যাদি।