রক্তনালি ছিঁড়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়া বা মস্তিষ্কের রক্তনালিতে রক্ত জমাট বেঁধে রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়াই স্ট্রোক। স্ট্রোকের কারণে শরীরের একপাশ অবশ হয়ে যায়, কথা বলায় দেখা দেয় জড়তা। স্বাভাবিক জীবনযাপন বিঘ্ন হয়। অনেকেই মৃত্যুবরণ করেন।
প্রতিবছর ১৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে যাদের ৩০ শতাংশ মৃত্যুবরণ করেন এবং প্রায় ৬০ শতাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন।স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণগুলোকে দুইভাগে আলাদা করা যায়। পরিবর্তনযোগ্য ও অপরিবর্তনীয়।
বয়স, লিঙ্গ, জিন বা জাতি এগুলো অপরিবর্তনীয়। অন্যদিকে, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ওজন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বদঅভ্যাস তামাক সেবন ও মদ্যপান যা হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যানসার, লিভার সিরোসিস এগুলোসহ মস্তিষ্কে স্ট্রোক ঘটাতে পারে। ধূমপানে স্ট্রোক ঝুঁকি দ্বিগুণের বেশি বাড়ে। ১৯৬৪ সাল থেকেই স্ট্রোক ও তামাক সেবনের সম্পর্ক আমেরিকান সার্জন জেলারেল রিপোর্টে তুলে ধরা হয়।
- ধূমপান প্রত্যক্ষভাবে মস্তিষ্কের রক্তনালীর রোগ বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
- ধূমপান ইসকেমিক স্ট্রোকের হার বাড়ায়।
- তামাক সেবন সাব-অ্যারাকনয়েড হেমোরেজের ঝুঁকি বাড়ায়।
- ধূমপান ছাড়ার চার থেকে পাঁচ বছর পরে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে অধূমপায়ীদের সমান হয়।
এ ছাড়াও আমাদের আশেপাশে মাইল্ড স্ট্রোকের হাড় বেড়েছে কয়েক গুণ। এ বিষয়ে এখনই সতর্ক হওয়া উচিত। মাইল্ড স্ট্রোক হলো স্ট্রোকের মতো কিছু উপসর্গ, যা কয়েক মিনিটব্যাপী থাকে এবং তৎপরবর্তীতে শরীরের কোনো স্থায়ী দুর্বলতা দেখা যায় না। চিকিৎসা না নিলে মাইল্ডস্ট্রোক পরবর্তীতে রোগীদের প্রতি ১০ জনের একজন তিন মাসের মধ্যে মেজর স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। এ ক্ষেত্রে একজন স্ট্রোক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চেকআপ করা প্রয়োজন।