কলেরা সংক্রমণ প্রতিরোধে সপ্তাহব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে রবিবার (২৬ জুন)। চলবে আগামী ২ জুলাই (শনিবার) পর্যন্ত।
এই কার্যক্রমে প্রাথমিকভাবে ঢাকার পাঁচটি স্থানের প্রায় ২৩ লাখ মানুষকে এই টিকা দেওয়া হবে। ঢাকার পাঁচটি এলাকায় ৭০০ কেন্দ্রের মাধ্যমে এই টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
রবিবার টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শনিবার (২৫ জুন) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা সূত্রে জানা যায়, মুখে খাওয়ার এই টিকা অন্তঃসত্ত্বা ছাড়া ১ বছর বয়স হতে সব বয়সের মানুষকে দেওয়া হবে।
আগামী ২৬ জুন থেকে ২ জুলাই মুখে খাওয়ার কলেরা টিকাদানের ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঢাকার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) মিলনায়তনে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জাতীয় কলেরা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী, সবুজবাগ, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও দক্ষিণখান এলাকায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষকে ৭০০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে কলেরা টিকাদান কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কলেরা টিকা প্রদান এবং টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল কলেরার টিকার কার্যক্রম শুরু হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার যে ২৩ লাখ জনসংখ্যা আছে তাদেরকে টিকার আওতায় নিয়ে আসবো।
তিনি আরও জানান, সিটি করপোরেশনের স্থাপনা যেগুলো আছে তাদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের ইপিআই, আইসিডিডিআর,বি সবাই মিলে আলোচনা করে কেন্দ্রগুলো ঠিক করেছে। টিকা নিতে মানুষকে আহ্বান জানাতে মাইকিং চলছে। স্থানীয়ভাবে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।