নাসিম রুমি: সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। অনেকে আবার সাধারণ জ্বরের সঙ্গে ডেঙ্গুকে গুলিয়ে ফেলে অবহেলা করছেন। শিশু থেকে বয়স্ক— বিভিন্ন বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এতে।
সাধারণত জ্বর, মাথাযন্ত্রণা, হাত-পায়ের সঙ্গে সারা শরীরে ব্যথা, বমি বমি ভাব, মুখে অরুচি, মলের সঙ্গে রক্তপাত— ডেঙ্গু রোগের অন্যতম লক্ষণ। এই লক্ষণগুলো থাকলে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অবশ্যই জরুরি। ডেঙ্গু সেরে গেলেও কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
ডেঙ্গুর জ্বর বেশি দিন থাকে না। জ্বর চলে যাওয়ার পরে অনেকেরই মনে হয় সুস্থ হয়ে গেছেন। কিন্তু আসল বিপদের শুরু হচ্ছে সেই সময় থেকেই। জ্বর কমে যাওয়ার ২-৭ দিন পর ডেঙ্গুর সঙ্কটজনক অবস্থা তৈরি হয়। তাই এই সময়টিতে সাবধান থাকা জরুরি।
অতিরিক্ত দুর্বলতা, বমি, পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা— জ্বর কমে যাওয়ার পরেও যদি এই লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে তা হলে অবশ্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরি। এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকলে মৃত্যু এড়ানো যাবে বলে মত চিকিৎসকের।
• জ্বর কমে যাওয়ার ৪৮-৭২ ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে বাড়তি নজরে রাখতে হবে। রোগীর নিজেরও খানিক সতর্ক থাকা জরুরি। কোনো সমস্যা হলে তা চেপে না রেখে চিকিৎসককে জানাতে হবে।
• ডেঙ্গু হলে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়। তাই ঘাটতি কতটা কমেছে সেটা বোঝা জরুরি। এ ছাড়াও প্লাটিলেট পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। জ্বর চলে যাওয়ার ২-৩ দিন পর এটা কয়েকবার পরীক্ষা করা উচিৎ।
• ডেঙ্গু শরীর ভেতর থেকে দুর্বল করে দেয়। তাই এই সময় পর্যাপ্ত পুষ্টির প্রয়োজন। সঠিক ডায়েট মেনে চললে দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তরল খাবার বেশি করে খাওয়া জরুরি। ঘন ঘন পানি খেতে হবে। শরীরে পানির পরিমাণ কমতে দেওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন সি, আয়রন, ভিটামিন ই-তে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে।