অনেক ক্ষেত্রেই ডেঙ্গুতে শরীরে র্যাশ দেখা যায়, তবে ডেঙ্গুর অন্যান্য লক্ষণ ও উপসর্গের মধ্যে এটাকে সাইড সিম্পটম বা পার্শ্ব লক্ষণ হিসেবে ধরা যায়।
প্রথম ধাপের র্যাশ : ত্বকের এই লক্ষণগুলো দু-তিন রকমের হতে পারে, একদম প্রাথমিক পর্যায়ে মুখ ও গলাসহ বুকের ওপরের অংশ লাল হয়ে যেতে পারে, ভাইরাস ও রক্তের অ্যান্টিবডির সঙ্গে রি-অ্যাকশনের কারণে সাধারণত এমনটা ঘটে থাকে।
এর পরবর্তী পর্যায়ে প্রধানত হাতের ও পায়ের পাতায় লালচে দাগের মতো হয়, যেগুলো গুটি আকারেও দেখা দেয়। পরে সেই গুটিগুলো ধীরে ধীরে শরীরের অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
নিরাপদ থাকতে ক্রিমের ব্যবহার : ঘুমানোর সময়ে মশারি টানানো যেমন অত্যাবশ্যক তেমনি অন্যান্য সময় ত্বকে মসকিউটো রিপেলেন্ট ক্রিম ব্যবহারও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘকালীন প্রতিরক্ষা না দিলেও এই ক্রিমগুলো বেশ কিছুক্ষণ ত্বককে মশার কামড় থেকে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম। শিশুদের জন্যও এই ক্রিমগুলো নিরাপদ।
তবে হাতে লাগানোর পর যাতে হাতের মাধ্যমে মুখের ভেতর না চলে যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সতর্কতার প্রয়োজন বেশি।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. যাকিয়া মাহফুজা যাকারিয়া
সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ডার্মাটোলজি
উত্তরা স্কিন কেয়ার অ্যান্ড লেজার
সাবেক কনসালট্যান্ট ডার্মাটোলজিস্ট
ঢাকা শিশু হাসপাতাল