শীত মৌসুম এলেই ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। বিশেষ করে সর্দি-কাশি ও কফের সমস্যা দেখা দেয়।
এর সঙ্গে আবার গলা বসে কথা ফ্যাসফেসে হয়ে যাওয়া আপাতদৃষ্টিতে খুবই সাধারণ সমস্যা মনে হলেও আদতে তা না-ও হতে পারে। গলা বসে যাওয়া অনেকেই খুব একটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। কিন্তু এই গলা ভাঙাই অনেক সময় মারাত্মক কোনো রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গলা বসার কারণ হলো শ্বাসনালিতে সংক্রমণ। এমনকি সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা বা দীর্ঘক্ষণ জোরে কথা বললেও গলার স্বর ভাঙতে পারে। দীর্ঘদিন এ সমস্যা হচ্ছে, কিছুতেই সারছে না, বিশেষ করে আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন, কাজেই অবহেলা করবেন না! অল্পতেই তৎপর হন!
তবে প্রথমেই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে গাদা গাদা অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে বরং ঘরোয়া উপায়ে এর মোকাবিলা করুন—
লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করাটা সবচেয়ে সাধারণ এবং একই সঙ্গে কার্যকর পদ্ধতি। দিনে অন্তত চারবার লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করতে হবে। গলা ভাঙা উপশমে ভালো আরেকটি পদ্ধতি হলো গরম বাষ্প টানা। ফুটন্ত পানির বাষ্প যদি প্রতিদিন ১০ মিনিট মুখ ও গলা দিয়ে টানা হয়, তবে উপকার হবে।
ভাঙা গলায় হালকা গরম লেবুপানি ও আদা বেশ কার্যকর। শুকনো আদায় ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উপাদান রয়েছে, যা গলার বসে যাওয়া স্বরকে স্বাভাবিক করে তুলতে পারে।
কণ্ঠস্বরেরও যত্ন দরকার। প্রথমেই চিৎকার-চেঁচামেচি থেকে বিরত থাকতে হবে। ঠাণ্ডা লেগে যদি গলা বসে যায়, তবে কথা বলা বন্ধ করতে হবে বা কমিয়ে দিতে হবে। এমনকি ফিসফিস করেও কথা বলবেন না তখন। ধূমপান গলার যেকোনো সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয় বা জটিল করে তোলে। তাই ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।