দেশে করোনায় শনাক্ত অথবা মৃত্যুতে প্রায় প্রতিদিনই রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ৮ হাজার ৮২২ জনের নতুন রেকর্ড হয়েছে। এর আগে গত ২৮শে জুন ৮ হাজার ৩৬৪ জন শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৯ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ হাজার ৫০৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৫৫০ জন এবং এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ১৬ হাজার ২৫০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, ৫৬৫টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ৮৬টি নমুনা সংগ্রহ এবং ৩৫ হাজার ১০৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৯২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
এদিকে বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১৭ জন। শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৬২ জন। এই বিভাগে শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৩ শতাংশ রোগী বেড়েছে। ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৩ শতাংশ। মারা গেছে ১১ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন ৬ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৫৬ জন। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৩২ শতাংশ। চট্টগ্রামে মারা গেছেন ২৩ জন। এ বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৫১ জন। শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। রাজশাহীতে মারা গেছেন ২৩ জন। শনাক্ত হয়েছে ৯৩৩ জন। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১১ শতাংশ। রংপুর বিভাগে মারা গেছেন ১১ জন। শনাক্তের সংখ্যা ৪৭৩ জন। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৩২ শতাংশ। খুলনা বিভাগে মারা গেছেন ৩০ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২৭৭ জন। শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন ২ জন। শনাক্তের সংখ্যা ২০৮ জন। শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ১১ শতাংশ। একই সময়ে সিলেট বিভাগে মারা গেছেন ৩ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৬২ জন। শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৭০ শতাংশ।