স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নির্দেশনায় গত মাসের ২৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীসহ সারাদেশে একদিনে এককোটি টিকা দেয়ার যে ক্যাম্পেইন হয়েছিল, তার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।২৮ মার্চ থেমে এ কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত।
প্রথম ডোজের মতো দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে সোমবার (২১ মার্চ) নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি যারা টিকা নিয়েছেন তাদের একই কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হবে। স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় যেভাবে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছিল, ঠিক একইভাবে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। প্রয়োজনে ভিড় নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র/বুথের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
১৮ বছর বা এর বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর যাদের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর চার মাস অতিবাহিত হয়েছে তারা এসএমএস না পেলেও কেন্দ্রে আসলে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সম্মুখসারির যোদ্ধা, বয়োজ্যেষ্ঠ ও নারীদের প্রধান্য দিতে হবে। প্রাপ্যতা অনুযায়ী অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার বা মর্ডানার ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ হিসেবে দিতে হবে।
১২ বছর বা এর বেশি জনগোষ্ঠী, যাদের প্রথম ডোজ গ্রহণের পর ২৮ দিন অতিবাহিত হয়েছে তারা দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে পারবে। শুধু অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাপ্রাপ্তদের ১ম ডোজ গ্রহণের দুই মাস পর দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া, ১২ বছর বা এর বেশি বয়সী জনগোষ্ঠী যারা এখনো ১ম ডোজের টিকা গ্রহণ করেননি তাদের এ বিশেষ ক্যাম্পইন চলাকালে ১ম ডোজ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।