জাপান ও ব্রিটিশ সরকার ৮০ লাখ এস্ট্রেজেনেকার ভ্যাক্সিন দিয়েছে বাংলাদেশকে। আজ বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে এই ভ্যাক্সিন হস্তান্তর করা হয়। ভ্যক্সিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, এ মাসেই ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় জাপান সরকার ৪০ লাখ ৮০০ ডোজ এবং ইউকে সরকার ৪০ লাখ ৫৫ হাজার ডোজ এস্ট্রেজেনেকার ভ্যাক্সিন হস্তান্তর করে। জাপান সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত নাউকিতো এবং ইউকে সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রাবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন নিজ নিজ দেশের পক্ষে ভ্যাক্সিনগুলি হস্তান্তর করেন।
ভ্যাক্সিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘জাপান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই ভীষণ আস্থাভাজন বন্ধু রাষ্ট্র। অন্যদিকে ব্রিটিশ সরকারও দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের পাশেই থাকে। দেশ দুটি থেকে পাওয়া এই ভ্যাক্সিনগুলি করোনা মোকাবিলায় নিঃসন্দেহে আমাদেরকে আরো শক্তিশালী করবে। ভ্যাক্সিন প্রদানে ইতোমধ্যেই আমরা আমাদের মূল লক্ষ্যের ৩২ ভাগ অতিক্রম করেছি। এখন হাতে আমাদের সাড়ে ৪ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন রয়েছে। এ মাসেই ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজও শুরু করা হবে। কাজেই ভ্যাক্সিন প্রদানে আমরা বহু দেশের তুলনায় ভালো অবস্থায় রয়েছি। করোনায় এই মুহুর্তে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার উভয়ই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত ৩ জন ওমিক্রন আক্রান্ত পাওয়া গেছে। আশার কথা ৩ জনকেই আমরা কোয়ারান্টাইন করতে সক্ষম হয়েছি। তারা চিকিত্সা নিচ্ছে ও এখন ভালো আছে।
তবে, দেশের মানুষকে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে, মুখে মাস্ক পরতে হবে এবং টিকা নিতে আগ্রহী হতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের কাঙি্ক্ষত লক্ষ্যে যেতে পারবো।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এ সময় ইউনিসেফ এর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ শেলডেন ইয়েট স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়াসহ দূতাবাস ও হাই কমিশনারের অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।