স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন ট্রায়ালে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন ট্রায়ালে ভারতসহ অন্যকোনো দেশ আগ্রহ দেখালে সরকার তার কার্যকারিতা যাচাই করে অনুমোদন দেবার ক্ষেত্রে আন্তরিক থাকবে। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ভ্যাকসিন ট্রায়াল ও তার অগ্রগতি’ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে ব্রিফিংকালে তিনি এ এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চায়না কোম্পানী সায়নোভ্যাক দেশে ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নিতে আইসিডিডিআর এর মাধ্যমে আবেদন করেছিল। সরকার তাদের ভ্যাকসিনের ব্যাপারে সব ধরণের যাচাই-বাছাই করেছে। সেটির কার্যকারিতা নিয়ে সরকারের নানাবিধ বিশ্লেষণ শেষে চায়না কোম্পানীটিকে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়া হলো। যত দ্রুত ভ্যাকসিন ট্রায়াল সম্পন্ন হবে ততো দ্রুত দেশ ভ্যাকসিন টিকা প্রাপ্ত হবে।
কোম্পানীটি ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় ট্রায়াল শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, তুরস্কসহ বেশ কিছু দেশে ট্রায়াল শুরুর পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে। বাংলাদেশকে তারা (চায়না কোম্পানী) পছন্দের শীর্ষে রেখেছে শুরু থেকেই। বাংলাদেশ এই ট্রায়ালে অংশ নিলে এক লাখ পিস টিকা সামগ্রী ফ্রি লাভ করার পাশাপাশি আরো প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিন ক্রয় করতে অগ্রাধিকার পাবে বলে সরকার মনে করছে। তা ছাড়া চায়না সরকারের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক দৃঢ়। সবকিছু বিবেচনা করেই চায়না ভ্যাকসিন কোম্পানীটিকে ট্রায়ালে অংশ নেবার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
অন্য কোনো দেশের ট্রায়াল বাংলাদেশে হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিশ্বের ৮টি কোম্পানী ভ্যাকসিন ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কোম্পানীগুলো বাংলাদেশে ট্রায়ালের আগ্রাহ দেখালে বাংলাদেশ তা বিবেচনা করবে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন