সম্প্রতি ভারত বায়োটেক কোভিডের একটি নতুন টিকা আবিষ্কার করেছে। নাকে দেওয়ার ওই টিকার নাম ইনকোভ্যাক। সরকার ছাড়পত্র দেওয়ার পর সংস্থাটি টিকার দাম ঘোষণা করেছে। সরকারি হাসপাতালে ৮০০ টাকায় পাওয়া যাবে নতুন টিকা। আর বেসরকারি হাসপাতালে তার ওপর পাঁচ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে।
চীনে নতুন করে করোনার ঢেউ শুরু হওয়ার পর ভারতে নতুন এই নাকের টিকা পেতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে গেছে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, সবাই এ টিকা নিতে পারবেন না।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বক্তব্য, করোনার বুস্টার ডোজ যারা ইতোমধ্যেই নিয়ে নিয়েছেন, তারা নতুন টিকা নিতে পারবেন না। যাদের কেবলমাত্র দুইটি ডোজ নিয়েছেন, তারা কোন সংস্থার করোনার টিকা নিয়েছেন তা পরীক্ষা করে তবেই এই নতুন টিকা দেওয়া যেতে পারে।
চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে অ্যান্টিজেন সিঙ্ক বলে একটি কথা আছে। কোনো ব্যক্তিকে একই অ্যান্টিজেনের টিকা যদি বারবার দেওয়া হয়, তাহলে তার রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে। কোভিড টিকার ক্ষেত্রে ঠিক সে ঘটনাই ঘটেছে। একই ধরনের অ্যান্টিজেন বার বার শরীরে ঢোকানো হয়েছে। ফলে বুস্টার ডোজ নেওয়া কোনো ব্যক্তি ফের নতুন টিকা নিলে তা শরীরে রোগ প্রতিরোধের কাজ করবে না। সে কারণেই বুস্টার ডোজ দেওয়া রোগী এই টিকা নিতে পারবেন না।
বস্তুত, সরকারও নিয়ম করে দিয়েছে, চতুর্থবার বুস্টার টিকা নেওয়ার জন্য কেউ যদি নতুন টিকাটি বুক করেন, তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করে দেওয়া হবে।
চিকিৎসক সাত্যকি হালদার জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস এখন আর আগের মতো মারাত্মক নয়। ফলে অকারণে আর ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বারবার টিকা নেওয়াও বাঞ্ছনীয় নয়। তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।