আবারও রূপ বদলালো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এর সবশেষ ধরন নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। কেউ কেউ বলছেন, এটিই এখন পর্যন্ত দেখা করোনার সবচেয়ে বিপজ্জনক ধরন। এর বিরুদ্ধে টিকা কাজ করবে কিনা, কত দ্রুত ছড়াবে, উপসর্গ কতটা ভয়াবহ হবে- এখন এসব পরীক্ষা করছেন গবেষকরা।
করোনার নতুন এই ধরনের এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো নাম দেওয়া হয়নি। একে আপাতত বি.১.১.৫২৯ বলা হচ্ছে। এর মধ্যে যে স্পাইক প্রোটিন রয়েছে, তা করোনাভাইরাসের অন্য ধরনগুলো থেকে একেবারে আলাদা। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থার দাবি, আজ পর্যন্ত যত ধরনের করোনাভাইরাস এসেছে, তার মধ্যে নতুনটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাজ্যের গবেষকরা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই ধরন আরও সংক্রামক হতে পারে। আর এখন যে টিকা রয়েছে, তা এর বিরুদ্ধে খুব বেশি কার্যকর না হওয়ারও শঙ্কা রয়েছে।
এ কারণে যুক্তরাজ্য আগাম সতর্কতা হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানাসহ আফ্রিকার অন্তত ছয়টি দেশে যাতায়াতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
একই পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত এবং ইসরায়েল। বিমানবন্দরে বিদেশফেরত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার বিষয়টিতে আরও কড়াকড়ি আনার নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা ও এর আশপাশের দেশগুলো থেকে যারা যাচ্ছেন, তাদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।