করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পর যে কেউ বুস্টার বা তৃতীয় ডোজের টিকা নিতে পারবেন। তবে এ মুহূর্তে গ্রাম পর্যায়ে বুস্টার ডোজ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা।
আজ দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) বুস্টার ডোজের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন অনুযায়ী তৃতীয় ডোজের টিকা অন্য টিকা দিয়েও নেওয়া যাবে জানিয়ে ফ্লোরা বলেন, এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইজারের টিকা আমাদের হাতে রয়েছে। তাই যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন তৃতীয় ডোজে ফাইজারের টিকা নিতে কোনো টেকনিক্যাল বাধা নেই, তাই আমরা ফাইজার দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, শুরুতে আমাদের ফাইজারের টিকা বেশি দেওয়ার সক্ষমতা ছিল না। পর্যায়ক্রমে আমরা পর্যাপ্ত টিকা ব্যবস্থা করেছি। এমনকি আমরা এখন দেশের ৬৪ জেলায় ফাইজারের টিকা পৌঁছে দিয়েছি। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা পর্যায়েও এই টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ আমরা যেভাবে দিয়ে আসছিলাম, বুস্টার ডোজও সেভাবে দেব। এখানে মিক্সার ডোজের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বুস্টার ডোজ নিলে সার্টিফিকেট পেতে অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা। তবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে কবে থেকে মানুষ বুস্টার ডোজের টিকা পাবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, তারা কিন্তু আমাদের সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্টার্ড, এমনকি তাদের সব তথ্য আমাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। তাদেরই আমরা তৃতীয় ডোজ দেবো, যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস হয়েছে।