ডা. মো. শরীফ উদ্দিন: হেপাটাইটিস বা লিভারের প্রদাহ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে ভাইরাস দ্বারা লিভারের প্রদাহ বা ভাইরাল হেপাটাইটিস। সাধারণত যেসব ভাইরাস হেপাটাইটিস করে থাকে সেগুলো হলো- হেপাটাইটিস এ বি সি ডি এবং ই ভাইরাস। এছাড়া আরও কিছু ভাইরাসের সংক্রমণে লিভারের প্রদাহ হতে পারে।
তাদের মধ্যে ডেঙ্গু ভাইরাস, ইয়েলো ফিভার ভাইরাস, সাইটোমেগালো ভাইরাস অন্যতম। ‘এ’ ভাইরাস এবং ‘ই’ ভাইরাস দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়। কিছুদিন ধরেই বিশেষ করে বাচ্চাদের মধ্যে একিউট ভাইরাল হেপাটাইটিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
প্রকারভেদ : সংক্রমণের স্থায়িত্বকাল হিসেবে হেপাটাইটিসকে ২ ভাগে ভাগ ভাগ করা যায় * একিউট বা স্বল্পমেয়াদি হেপাটাইটিস *ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি হেপাটাইটিস।
সাধারণত হেপাটাইটিস এ বি এবং সি একিউট হেপাটাইটিস করে থাকে। হেপাটাইটিস এ ভাইরাসের সংক্রমণের হার শিশুদের মধ্যে। অন্যদিকে বড়দের সাধারণত ই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্তের হার বেশি। প্রসূতি মায়েদের ক্ষেত্রে ই ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হলে বেশি জটিলতা পরিলক্ষিত হয়।
উপসর্গ : প্রাথমিক অবস্থায় লক্ষণবিহীন থাকতে পারে *মৃদু উপসর্গ যেমন- জ্বর জ্বর ভাব, বমিভাব, অবসাদ ভাব থাকতে পারে * খাবারে অরুচি * চোখের সাদা অংশ ও প্রস্রাবের রং অনেক হলুদ হয়ে যাওয়া * পেটের উপরিভাগে ব্যথা অনুভব হওয়া * পেটের ডান পাশের উপরিভাগে অস্বস্তি অনুভূতি।
প্রতিরোধের উপায় : খাবার গ্রহণের আগে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়া * রক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং পরীক্ষা করানো * অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা * সেলুনে শেভ করা বা চুল কাটানোর ক্ষেত্রে ব্লেড পরিবর্তন করা।
লেখক : সিনিয়র রেসিডেন্ট, মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল।