সঠিক সময়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন
খাবার খাওয়ার সয়ম নির্দিষ্ট করে নিতে হবে। খাবার গ্রহণের সময় অনিমিয়ত হলে পেটে বেশি অ্যাসিড তৈরি হয়। নিয়মিত বিরতিতে খাবার খেলে অ্যাসিডিটি কমে।
অতিরিক্ত ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
ঝাল ও বেশি মশলাযুক্ত খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করে এবং অ্যাসিডিটি বাড়ায়। তাই অতিরিক্ত ঝাল ও তেলে ভাজা খাবার পরিহার করুন।
তেল ও চর্বিযুক্ত কমিয়ে ফেলুন
বেশি তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার ধীরে হজম হয় এবং পেটে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়। তাই যতটা সম্ভব হালকা তেল ও কম চর্বিযুক্ত খাবার খান।
খাওয়ার পরই শোবেন
খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়লে পেটের অ্যাসিড সহজেই বুকের দিকে উঠে আসে এবং বুক জ্বালাপোড়া করে। খাওয়ার পর অন্তত ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর শুতে যান।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা
পানি শরীরের অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
একবারে অনেক খাবারখাবেন না
একবারে বেশি খাবার খেলে তা হজমে সমস্যা তৈরি করে এবং অ্যাসিডিটি বাড়ায়।
তাই ছোট ছোট অংশে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তিনে তিনবারের বদলে পাঁচবার অল্প অল্প করে খাবার খান। খেয়াল রাখবেন যেন এর ফলে যেন দৈনিক খাবারের পরিমাণ বেশি না হয়ে যায়।
চিনিযুক্ত এবং কার্বোনেটেড পানীয় চলুন
কোমল পানীয় বা কার্বোনেটেড পানীয় অ্যাসিডিটি বাড়ায়। এ ধরনের পানীয়তে কার্বনিক অ্যাসিড থাকে ফরে পেটে অম্লতা তৈরি হয়। এর বদলে পানি বা প্রাকৃতিক ফলের রস পান করুন।
প্রচুর তাজা ফল ও সবজি খান
তাজা ফল ও সবজিতে উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে, যা হজমের জন্য উপকারী এবং অ্যাসিডিটি কমাতে সহায়তা করে। বিশেষ করে কলা, তরমুজ, শশা ইত্যাদি পেট ঠান্ডা রাখতে কার্যকর।
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমানো
মানসিক চাপ বেশি থাকলে পেটে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি হয়। চাপ কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম, মেডিটেশন, শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে অ্যাসিডিটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
পুদিনা ও আদা ব্যবহার করুন
পুদিনা পাতা এবং আদা হজমে সহায়ক এবং এগুলো পেট ঠান্ডা রাখতে কার্যকর। আদা চা বা পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি কমে।
এই অভ্যাসগুলো মেনে চললে অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব। খাবার ও জীবনযাত্রার দিকে একটু নজর রাখলেই অ্যাসিডিটি এড়ানো যায় এবং সুস্থ থাকা সম্ভব।