কারণ
বয়স বৃদ্ধি : বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ঘনত্ব স্বাভাবিকভাবে কমতে থাকে।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা : মহিলাদের মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেনের ঘাটতি এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরনের অভাব দুর্বল করতে পারে হাড়।
জেনেটিক কারণ : পরিবারে কারো অস্টিওপোরোসিস থাকলে বেড়ে যায় ঝুঁকি।
পুষ্টির অভাব : ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হাড়ের স্বাস্থ্যকে খারাপ করে।
ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব : নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম না করলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে।
ধূমপান ও মদ্যপান : এগুলো হাড়ের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়।
কিছু ওষুধের প্রভাব : স্টেরয়েডের মতো কিছু ওষুধ দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে হাড় ক্ষয় হতে পারে।
অন্য রোগের প্রভাব : থাইরয়েড, কিডনি রোগ বা আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যাগুলোর ফলেও অস্টিওপোরোসিস হতে পারে।
লক্ষণ
♦ প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ দেখা যায় না।
♦ উচ্চতা ধীরে ধীরে কমে যাওয়া।
♦ কোমর, পিঠ বা নিতম্বে ব্যথা।
♦ সামান্য আঘাতেই হাড় ভেঙে যাওয়া।
♦ মেরুদণ্ডের কশেরুকা ভেঙে পিঠ বাঁকা হয়ে যাওয়া।
সুষম খাদ্য : ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার (দুধ, দই, পনির), সবুজ শাক-সবজি এবং ভিটামিন ডি-এর জন্য মাছ, ডিম খাওয়া।
ভিটামিন ডি গ্রহণ : নিয়মিত সূর্যালোক গ্রহণ করুন। প্রয়োজনে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিন।
নিয়মিত ব্যায়াম : ওজন বহনকারী ব্যায়াম যেমন : হাঁটা, দৌড়ানো বা সাইক্লিং হাড় মজবুত করে।
ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন : এগুলো হাড়ের ক্ষতি করে।
পিরিয়ডিক বোন ডেনসিটি টেস্ট : ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা করে ঝুঁকি নির্ধারণ করা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-এর সাপ্লিমেন্ট নিয়মিত গ্রহণ করা।
শল্য চিকিৎসা : যদি হাড়ের ভাঙন গুরুতর হয়, তবে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ডা. এম ইয়াছিন আলী
চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমণ্ডি, ঢাকা।