প্রসেসড খাবার
প্রসেসড বা প্রক্রিয়াজাত খাবারে সাধারণত অতিরিক্ত চিনি, প্রিজারভেটিভ ও অনিয়ন্ত্রিত ফ্যাট থাকে। প্যাকেটজাত, টিনজাত বা ফ্রোজেন খাবার বেশি খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। তাই নিয়মিত এই ধরনের খাবার খাওয়া ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য এসব খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ
মানসিক চাপ ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানসিক চাপ এখন নিত্যসঙ্গী। পড়াশোনা, চাকরি বা পারিবারিক চাপ—সবকিছু মিলে কর্টিসল হরমোন বেড়ে যায়, যার প্রভাব পড়ে রক্তে শর্করার মাত্রায়।
দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ ধীরে ধীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি করতে পারে, যা ডায়াবেটিসের পথ প্রশস্ত করে।
ঘুমের ঘাটতি
প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের ইনসুলিন ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ভালো ঘুম শরীরের সুস্থ ইনসুলিন কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ঘুমের অভাবে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হতে পারে, ফলে বাড়ে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা।
স্থূলতা ও অলস জীবনযাপন
ওজন বেড়ে গেলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে, যা ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে মেদ জমে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয় এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে স্থূলতা ডায়াবেটিসের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে ওঠে।
অল্প বয়সে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি। নিয়মিত শরীরচর্চা, সুষম খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ কমানো এবং ভালো ঘুম—এই অভ্যাসগুলো গড়ে তুলতে পারলেই ডায়াবেটিসকে অনেকটাই দূরে রাখা সম্ভব।