জানুয়ারির ২১ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে দেশে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আসবে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে চুক্তি অনুযায়ি বেক্সিমকো ফার্মা এই টিকা আনবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশিদ আলম। বিকালে অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। দেশে টিকা প্রয়োগে সরকারের পরিকল্পনা জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
মহাপরিচালক জানান, বেক্সিমকো টিকা আনার পর তাদের ওয়ারহাউজে দুই দিন রাখবে। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ি নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে দেবে।
জনমনে টিকা নিয়ে যাতে কোনো বিভ্রান্তি না হয় সেজন্য গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। ব্রিফিং এ জানানো হয়, ২৬শে জানুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহীদের নিবন্ধন শুরু হবে।নিববন্ধন করেই টিকা নিতে হবে। নিবন্ধনের পর আবেদনকারীকে স্থান ও সময় বলে দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সাড়ে সাত হাজার কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে জাতীয়ভাবে টিকা দেয়া শুরু হবে। প্রথম ভ্যাকসিন নেয়ার মাঝে দুই মাসের বিরতির পর দ্বিতীয় টিকা দেয়া হবে। এজন্য প্রথম ধাপে আসা ৫০ লাখ ভ্যাকসিন ৫০ লাখ মানুষকে দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রথমধাপে ৮০ বছরের বেশি বয়সী আর স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন পাবেন। পরের ধাপে ৭০ বছরের বেশি বয়সীরা পাবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, ফাইজারের টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৪ লাখ মানুষ ফাইজারের টিকা পেতে পারেন। ভ্যাকসিন দিতে সারা দেশে ৭৩৪৪ টি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে ছয় জন করে সদস্য থাকবেন।