নাসিম রুমি: কোনো সার্জারির পর রোগীকে সাধারণত এক মাস বা তারও বেশি সময় ভিটামিন ট্যাবলেট খেতে বলা হয়। পাশাপাশি বৃদ্ধ বয়সে শরীরের হাল ফেরাতেও অনেককে এই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে বাচ্চাদের একটা বয়স পর্যন্ত রোজ এই ওষুধ খেতে হয়। আর কারো শরীরে যদি ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি থাকে, সে ক্ষেত্রেও চিকিৎসক তাঁকে ভিটামিন ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তবে এসবের বাইরেও কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট দেওয়া হয়।
কী কাজ করে এই ওষুধ?
এই ওষুধের প্রধান কাজ হলো শরীরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি মিটিয়ে ফেলা। এর পাশাপাশি ইমিউনিটিকে সক্রিয় করার কাজেও ভীষণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এই ওষুধ। শুধু তা-ই নয়, শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো উপকারী উপাদান পৌঁছে দেয় ভিটামিন ট্যাবলেট।
যার দরুন প্রদাহ প্রশমিত হয়। অন্যান্য বড় অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কমে। তাইতো বিশ্বজুড়েই ভিটামিন ওষুধ খাওয়ার এত চল।
দিনের কোন সময়ে খাওয়া উচিত?
সাধারণত কোনো বড় খাবারের পর এই ওষুধ খেতে বলা হয়।
শেষ মুহূর্তে ব্রাজিলকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দিলেন সুপার সাব হেনরিকে
সে ক্ষেত্রে সকালে বা রাতে খাবার খাওয়ার পর এই ওষুধ খেতে পারেন। তাতে উপকারই পাবেন। তবে ভুলেও খালি পেটে এই ওষুধ খাওয়া উচিত হবে না। তাতে লাভ তো কিছু হবেই না, উল্টে শরীরের ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল হবে।
ইচ্ছামতো মাল্টিভিটামিন খাওয়া যাবে না
অনেকেই নিজের বুদ্ধিতে ভিটামিন ট্যাবলেট খান।
ভাবেন, এই ওষুধ খেলে বুঝি শরীরের হাল ফিরবে। তবে মনে রাখবেন অন্যান্য ওষুধের মতোই মাল্টিভিটামিনও একটা ড্রাগ। আর যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। না হলে শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। ভিটামিন ট্যাবলেট বা হেলথ ড্রিংকস কোনোভাবেই খাবারের বিকল্প নয়। তাই এ ধরনের ওষুধ যতই খান না কেন, প্রতিদিন নিয়ম করে শাক-সবজি, ফল এবং গোটা দানা শস্য অবশ্যই খেতে হবে। তা হলেই মিটবে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি। আপনি থাকবেন সুস্থ ও সবল।