নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা ছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত কিছু খাবার ফুসফুসের প্রদাহ প্রতিরোধ ও উপশম করার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়ে থাকেন।
আর এ খাবারগুলো সহজেই পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে প্রথম কথা হলো, ডায়েটে ভারসাম্য থাকতে হবে। এবার ফুসফুস বান্ধব খাবারগুলো কী, তার তালিকাটি দেখে নেওয়া যাক।
আপেল
আপেলকে এমনিতেই ডাক্তার দূরে রাখার মহৌষধ বলা হয়। তবে এই ফলটি খেতে হবে খোসাসহ।
এর খোসায় কোয়েরসিন নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে পারে। তাই যাদের ক্রনিক অ্যাজমা বা সিওপিডি আছে তাদের জন্য প্রতিদিন আপেল খেতে পারেন।
মরিচ
মরিচে মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন সি থাকে। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখে বলে বহু গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে। বায়ুথলির প্রদাহ কমাতেও এটি কার্যকর। ধূমপানের ইতিহাস থাকলে তো ফুসফুসের যত্নে অবশ্যই দিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া জমে থাকা শ্লেষ্মা আলগা করতে আর কাশি কমাতে মরিচের ক্যাপসাইসিন কাজ করে ভালো।
বিট
আমাদের দেশে সারা বছরই এখন বিট হয়। বাজারেও পাওয়া যায় সহজেই। এই গাঢ় লাল মূলজাতীয় সবজিটিতে নাইট্রেট থাকে প্রচুর। পর্যাপ্ত বিট খেলে শরীর এই নাইট্রেট থেকে নাইট্রিক অক্সাইড বানায়। এই রাসায়নিক যৌগ রক্তনালিকে প্রসারিত করে, অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ায় আর রক্তচাপ কমায়। এগুলো সবই ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বিটের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর প্রদাহরোধী উপাদানগুলোও এ ক্ষেত্রে কার্যকর।
সবুজ শাকসবজি
আমাদের দেশের আনাচে-কানাচে জন্মে বহু রকমের শাকপাতা। ঘন সবুজ এসব সবজিতে অনেক ক্যারোটিনয়েড থাকে। এগুলো প্রদাহের বিরুদ্ধে তাই খুব ভালো কাজ করে। এসব শাকপাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। কিন্তু রান্না করলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তাই পালং, লাইপাতা, শর্ষেপাতা, থানকুনি ইত্যাদি কচি অবস্থায় কাঁচা খেলে ভালো।
ডাল ও বিনস
বিনস, মটরশুঁটি আর ডালে আছে প্রচুর খাদ্যআঁশ। গবেষণায় দেখা যায়, সিওপিডি প্রতিরোধ করতে এমন আঁশযুক্ত খাবার উপকারী। ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায় এসব পানিতে দ্রবীভূত হতে পারে এমন আঁশ।
টমেটো
ভিটামিন সির সঙ্গে সঙ্গে লাইকোপিনের খুব ভালো উৎস টমেটো। এটি এক ধরনের ক্যারোটিনয়েড গোত্রের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা বায়ুনালির প্রদাহ কমায়, শিথিল করে একে। সিওপিডি আর অ্যাজমার কষ্ট কমাতেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে লাইকোপিন।