বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। এখানে কর্মরত শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান ও কর্মচারীবৃন্দের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ৭৫০ শয্যা বিশিষ্ট দেশের প্রথম সেন্টার বেইজড সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধনকে ঘিরে এই উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং তারিখ বুধবার বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সরাসরি উপস্থিত হয়ে এই হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন।
দেশেই বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নবনির্মিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধনকে সামনে রেখে আজ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং তারিখে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের মাননীয় সচিব মোঃ সাইফুল হাসান বাদল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. স্বপন কুমার তপাদার প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মাননীয় সচিব মোঃ সাইফুল হাসান বাদল সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধীন অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে মূল্যবান পরামর্শ দেন।
এই সময় মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ শীঘ্রই চালু হতে যাওয়া সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালকে স্বাস্থ্যখাতের পদ্মা সেতু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় একটি নতুন যুগের সূচনা হবে। দেশেই রোগীরা বিশ্বমানের চিকিৎসেবা পাবেন। চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীদেরকে দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। দেশে চিকিৎসকদের জন্য অত্যাধুনিক পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা, বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ, জিন থেরাপি, রোবটিক সার্জারি এবং জনগণের জন্য উচ্চমানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে হৃদরোগ, কিডনি রোগ, লিভার, গল ব্লাডার ও প্যানক্রিয়েটিক, অরগান ট্রান্সপ্লান্ট, ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি রোগ, নিউরোসার্জারিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যবস্থা বাংলাদেশে চিকিৎসাক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।