স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশ এখন টিকাদানের দিক থেকে বিশ্বে ১০ম স্থানে অবস্থান করছে যা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। বাংলাদেশ টিকা কার্যক্রমে বরাবরই সফল। এজন্যই এবারো টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিশ্বের বহু উন্নত দেশকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অভ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এ দেশব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য একদিনে এক কোটি কভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে দেশে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৩৩ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। এই সংখ্যা আমাদের মোট জনসংখ্যার ৮৬ শতাংশ। এর মধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৬১ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪৬ শতাংশ মানুষকে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা দেশের অন্তত ৯০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। সে লক্ষ্যেই আমরা আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী এক দিনে এক কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এটি সফল করতে সবাইকে টিকা নিতে এগিয়ে আসতে হবে।
টিকাদানে বাংলাদেশের ব্যাপক সফলতার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের টিকাদান কর্মসূচির নিয়মিত যে হালনাগাদ তথ্য, তার ওপরে ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলেছে, ৬৫টি দেশের মধ্যে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ১০ নম্বরে রয়েছে। দেশের মানুষকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমার দেখেছি করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তাদের ৮৫ শতাংশই টিকা নেননি। কাজেই টিকা নেওয়া অনেক জরুরি। আমাদের হাতে এখনো প্রায় ৯ কোটির মতো টিকা রয়েছে। কাজেই টিকার কোনো অভাব হবে না।