যে কারণে হয় : সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সী মানুষের ফ্রোজেন সোল্ডার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ডায়াবেটিস রোগীদের এ সমস্যা হওয়ার ঝুঁকিও অপেক্ষাকৃত বেশি। এছাড়া স্থূলতা, অতিরিক্ত চর্বি বা হাইপারলিপিডেমিয়া, হৃদরোগ, স্ট্রোকের রোগীদের এ সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়। দীর্ঘদিন কোনো কারণে কাঁধ নড়াচড়া বন্ধ থাকলে বা আঘাতের কারণে এ ব্যথা হতে পারে।
প্রথমে ব্যথা দিয়ে শুরু হলেও ক্রমে কাঁধের সন্ধির নড়াচড়া সীমিত হতে থাকে। সন্ধির ভেতরকার সাইনোভিয়াল ফ্লুইড বা তরল পদার্থ কমে গেলে ওপরকার সাইনোভিয়াল ক্যাপসল বা আবরণ সংকুচিত হতে পারে। ক্রমে পেশিগুলো শক্ত হয়ে যায়। ফলে সন্ধি নড়াচড়া করায় সমস্যা দেখা দেয়। রোগীর ইতিহাস শুনে এবং শারীরিক পরীক্ষা করে ফ্রোজেন সোল্ডার শনাক্ত করা হয়। তবে ঝুঁকি নির্ণয় ও অন্যান্য রোগ সম্পর্কে জানতে কিছু পরীক্ষা করা দরকার হতে পারে।
করণীয় : ব্যথা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক গ্রহণ করতে হবে। ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। ওজন বেশি থাকলে কমাতে হবে।
ফিজিওথেরাপি : এ ব্যথায় আরাম পেতে ফিজিওথেরাপি ও ব্যায়াম খুব কার্যকর চিকিৎসা। মূল চিকিৎসার পাশাপাশি প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপি নিতে হবে। চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করলে সুগার নিয়ন্ত্রণে এনে জয়েন্টে স্টেরয়েড ইনজেকশন দিতে পারেন। সন্ধির নড়াচড়া একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে অনেক সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জেনারেল অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে নড়াচড়া করার ব্যবস্থা করে থাকেন। চিকিৎসা : ফ্রোজেন সোল্ডারের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। সারতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। কাজেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে ধৈর্য ধরে ব্যায়াম ও চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
লেখক : অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক বিভাগীয় প্রধান, হলি ফ্যামেলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, ঢাকা
চেম্বার : পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইউনিট-২
শান্তিনগর, ঢাকা।