কখন অপারেশনের প্রয়োজন হয়রোগীর লক্ষণ, গলগণ্ডের আকার এবং এর কারণের ওপর চিকিৎসার প্রয়োজন ও ধরন নির্ভর করে। আকারে ছোট, চোখে পড়ে না এমন উপসর্গহীন নিরীহ ধরনের (ক্যান্সার নয়) গলগণ্ডের সাধারণত কোনো চিকিৎসার দরকার হয় না। সাধারণত নিম্নোক্ত কারণ বা উপসর্গ পরিলক্ষিত হলে নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেড-নেক সার্জনরা বিভিন্ন ধরনের থাইরয়েড সার্জারির পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যেমন–
যদি অনেক বড় আকারের গলগণ্ড বা থাইরয়েড নডিউল থাকে, যা গ্লান্ডের পেছনে থাকা শ্বাসনালি, খাদ্যনালি, গলার স্নায়ু বা রক্তনালির ওপর চাপ প্রয়োগ করে; ফলে ঘাড়ের সামনে অস্বস্তিকর অনুভূতি, মাঝেমধ্যে শ্বাসকষ্ট, খাবার গিলতে অসুবিধা, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন বা অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে।
বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় থাইরয়েডের ক্যান্সার ধরা পড়লে বা সন্দেহ হলে সার্জারির প্রয়োজন পড়তে পারে। কারণ, থাইরয়েড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অপারেশনের কোনো বিকল্প নেই।
থাইরয়েড গ্লান্ড বড় হয়ে (বিনাইন বা নিরীহ টিউমার) যদি আপনার জীবনযাত্রার স্বাভাবিকতাকে ব্যাহত করে।
যদি রোগী গলগণ্ডকে সৌন্দর্যহানির কারণ বলে মনে করেন, বেশি বড় হয়ে দেখতে যদি কুৎসিত বা অসুন্দর লাগে– সে ক্ষেত্রে সার্জারির প্রয়োজন হয়।
রোগী যদি ক্যান্সারের ধারণা করে ভীত হয়ে থাকেন, তাহলে চিকিৎসকরা অপারেশনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তাই গলার সামনের দিকে ফোলা ভাব দেখা দিলে অথবা গলগণ্ড হয়েছে বলে মনে করলে আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত একজন নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হবেন। অপারেশনের প্রয়োজন হলে আপনার চিকিৎসকের কাছ থেকে অপারেশন সম্পর্কিত সব বিষয় এবং ক্ষেত্রবিশেষ অপারেশন-পরবর্তী করণীয় জেনে নেবেন অবশ্যই।
লেখক: নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেড-নেক সার্জন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ।