ইউরোপ সেরার মঞ্চে পুরোটা সময় পিএসজির বিরুদ্ধে লড়াই করে গেল সমানে-সমানে। কিন্তু পেরে উঠল না আক্রমণত্রয়ী লিওনেল মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে। অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়ের খরা কাটাল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে ক্রিস্তফ গালতিয়েরের দল। এই ম্যাচে এক গোল করে দলকে সমতায় ফেরানোর সঙ্গে দুইটি রেকর্ড গড়লেন লিওনেল মেসি।
খাইফার মাঠে বুধবার রাতে ৩৭তম মিনিটে জালের দেখা পান মেসি। কিলিয়ান এমবাপ্পেকে বল বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে যান আর্জেন্টাইন মহাতারকা। শুরুতে শট নেওয়ার কথা ভাবলেও প্রতিপক্ষের বাধার মুখে পারেননি এমবাপ্পে। পরে পায়ের কারিকুরিতে সামনের দিকে এগিয়ে বাই লাইন থেকে চেষ্টা করেন মেসিকে খুঁজে নেওয়ার।
ঠিক মতো পারেননি এমবাপ্পে। তবে কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা খাইফার ফরাসি ডিফেন্ডার ডিলান বাতুবিনসিকার পায়ে লেগে বল যায় মেসির কাছেই। বাঁ পায়ের আড়াআড়ি শটে বাকিটা সারেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।
এ নিয়ে ইউরোপ সেরার মঞ্চে ৩৯টি ভিন্ন দলের বিপক্ষে গোল করলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। ছাড়িয়ে গেলেন এতদিন যৌথভাবে পাশে থাকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড গোল করেছেন ৩৮টি দলের বিপক্ষে। ইসরায়েলের কোনো দলের বিপক্ষে এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেললেন মেসি। এই নিয়ে ভিন্ন ১৯ দেশের ক্লাবের বিপক্ষে গোল করলেন তিনি। একই সঙ্গে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিযোগিতাটির ১৮ মৌসুমে গোল করলেন মেসি।