আর্জেন্টিনার মতো ব্রাজিলের ভাগ্যেও ড্র অপেক্ষা করছিল। আবারও পয়েন্ট খোয়ানো প্রায় নিশ্চিতই ছিল। তবে ম্যাচের শেষ দিকে সেলেসাওদের উদ্ধারকর্তা হয়ে এলেন লুইজ হেনরিক। বদলি নামা এই উইঙ্গার গোল করলেন ৮৯তম মিনিটে, তাতে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল ব্রাজিল।
হেনরিকের শেষ মুহূর্তের গোলে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চিলিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। এটি এবারের বাছাইয়ে ৯ ম্যাচে ব্রাজিলের পঞ্চম জয়। যে জয় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট তালিকার চারে তুলে এনেছে।
গত মাসে প্যারাগুয়ের কাছে হেরে যাওয়া ব্রাজিল আজ সান্তিয়াগোয় ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল হজম করে। চিলির ফিলিপে লায়োলা গোলমুখে চমৎকারভাবে ক্রস বাড়ালে সেটি গোলে পরিণত করেন এদুয়ার্দো ভারগাস।
ম্যাচের ১৪তম মিনিটে আরেকটি গোলের সুযোগ তৈরি করে চিলি। এ যাত্রায় দারিও ওসোরিও ব্রাজিলের দুই মিডফিল্ডার আন্দ্রে ও লুকাস পাকেতাকে ছাড়িয়ে ভেতরে ঢুকে ত্রিশ গজ দূর থেকে লম্বা শট নেন। বল এদেরসনের পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।
ব্রাজিল ম্যাচে ফেরে বিরতির আগমুহূর্তে। চিলির বক্সে স্যাভিনিওর বাড়ানো বল থেকে হেডে জাল খুঁজে নেন ইগর জেসুস। বোতাফোগোয় খেলা জেসুস ব্রাজিলের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেছেন আজই প্রথম। আর অভিষেকেই পেয়েছেন দলের সমতাসূচক গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে সপ্তম মিনিটেই চিলির জালে বল পাঠান রাফিনিয়া। তবে আক্রমণ তৈরির সময়ে অফসাইড হওয়ায় সেটি বাতিল হয়ে যায়। ব্রাজিলকে তিন পয়েন্ট এনে দেওয়া গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৮৯তম মিনিট পর্যন্ত।
ব্রুনো গিমারেসের কাছ থেকে বল পেয়ে চিলির বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জড়ান হেনরিক। গত মাসে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়া হেনরিক গোলের ২২ মিনিট স্যাভিনিওর বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন।
এই জয়ে ৯ ম্যাচে দরিভাল জুনিয়রের দলের পয়েন্ট ১৩। ৯ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আর্জেন্টিনা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে কলম্বিয়া। চিলির অবস্থান ৬ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে।
ব্রাজিল তাদের পরের ম্যাচটি খেলবে ১৫ অক্টোবর পেরুর বিপক্ষে, চিলির প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া।