ডাগআউটে ব্যস্ততা নেই আপাতত। টমাস টুখেলের সময় কাটছে অবকাশ যাপনে। সঙ্গী ব্রাজিলিয়ান মডেল নাতালি ম্যাক্স। হাতে হাত রেখে তারা উপভোগ করছেন সূর্যাস্তের মায়া। সাঁতার কাটছেন সাগরের নীল জলে। আর মন চাইলেই বেরিয়ে পড়ছেন নৌকা বিলাসে। তার আগে তিনি ভেঙেছেন ১৩ বছরের সংসার। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।
ভূমধ্যসাগরের কুলঘেঁষা নৈসর্গিক এক দ্বীপ সার্ডিনিয়া। সেখানেই বিলাসবহুল প্রাইভেট রিসোর্টে সময় কাটছে টুখেল-ম্যাক্স জুটির। যে রিসোর্টে এক রাতে খরচ হয় ২০ হাজার পাউন্ড।
১৩ বছর এক ছাদের নিচে কাটানোর পর কিছুদিন আগে স্ত্রী সিসিকে ডিভোর্স দেন টুখেল। মনের মানুষ খুঁজে পেতে বেশিদিন অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। ৪৮ বছর বয়সী জার্মান কোচের প্রণয় সঙ্গী হন ৩৫ বছর বয়সী নাতানি ম্যাক্স। দুই সন্তানের জননী নাতালির যুক্তরাজ্যে নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। ব্রাজিলিয়ান এই মডেলকে ‘সিঙ্গেল মাদার’-দের জন্য বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখা হয়।
গত এপ্রিলে বিচ্ছেদ হয়ে যায় টুখেল-সিসির। বিষয়টি লন্ডনের আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আগামী ছয় সপ্তাহে নিষ্পত্তি হতে পারে মামলার। ধারণা করা হচ্ছে, এই সেটলমেন্ট হতে পারে মাল্টি মিলিয়ন ডলারে।
২০২১ সালে টুখেলকে চেলসিতে নিয়ে আসেন ক্লাবের সাবেক রুশ মালিক রোমান আব্রামোভিচ। প্রথম বছরেই ব্লুদের উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ জেতান টুখেল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের প্রভাবে চেলসি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন আব্রামোভিচ। এতে টুখেলের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে লন্ডনের ক্লাবটিতে। তবে চেলসির নতুন মালিক টড বোয়েলি আস্থা রেখেছেন টুখেলের ওপর। নতুন মৌসুমে চেলসিকে পথ দেখাবেন তিনিই।