নাসিম রুমি: দেশের ফুটবল অঙ্গনের কিংবদন্তি, ‘কিংব্যাক’ খ্যাত মোনেম মুন্নার ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৫ সালের এই দিনে কিডনিজনিত রোগে প্রয়াত হন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও ঢাকা আবাহনীর সাবেক এ অধিনায়ক।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০টায় বন্দরে মোনেম মুন্না স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে মরহুমের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ, কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বাদ যোহর বন্দর মুন্না স্মৃতি ক্লাবে আয়োজন হয় মিলাদ মাহফিলের।
১৯৮৬ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় মরহুম মুন্নার। তিনবার তিনি জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৯৫ সালে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত চার জাতির টাইগার ট্রফি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়।
এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম কোন আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়। তার অধিনায়কত্বেই ১৯৯৫ সাফ গেমসে বাংলাদেশ রানার্স আপ হয়েছিল।
১৯৯৭ সালের ৩১শে মার্চ মুন্না ৩০ বছর বয়সে দেশের পক্ষে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন। সৌদি আরবের জেদ্দায় প্রিন্স আবদুল্লাহ আল ফয়সাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ছিল ওই ম্যাচটি। তিনি আমৃত্যু ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলে গেছেন।
২০০৮ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মুন্নার স্মরণে ধানমন্ডির ৮ নম্বর সেতুটির নাম ‘মোনেম মুন্না সেতু’ নামকরণ করেন। তবে দীর্ঘদিনেও মুন্নার জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জে তার স্মৃতি ধরে রাখতে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে।
বাফুফে কিংবা আবাহনীর পক্ষ থেকে কোনো আয়োজন না থাকলেও মোনেম মুন্নাকে স্মরণ করেছে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ইস্ট বেঙ্গল। নিজেদের ফেসবুক পেইজে এ কিংবদন্তিকে স্মরণ করে ছবি সম্বলিত পোস্ট দিয়েছে ক্লাবটি। সেখানে নিজেদের এ সাবেক ফুটবলারকে তারা স্মরণ করেছে ‘মনে মুন্না’ লিখে।