ম্যাচের ৫ মিনিটে মার্কার রাসফোর্ড ও ২২ মিনিটে রাসমাস হয়লুন্দের গোলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এগিয়ে ছিল ২-০ ব্যবধানে। তখন মনে হয়েছে, উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নিতে যাচ্ছে ইউনাইটেড। কিন্তু না। শেষ দিকে শুরু হয় শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই। ২৬ মিনিটের মধ্যে গোল হয়েছে ৫টি। তবে রোমাঞ্চকর এই লড়াইয়ে ম্যানইউ জিতেছে ৪-৩ গোলে।
ম্যাচের ৭১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে উলভারহ্যাম্পটন। ব্যবধান নেমে আসে ২-১ এ। খেলার বাকি তখনো ১৯ মিনিট। এর মধ্যে যদি আবার প্রতিপক্ষ গোল করে ফেলে তাহলে তো পয়েন্ট হারাতে হতে পারে ম্যানইউকে। যে কারণে, ক্ষিপ্রতায় খেলা শুরু করে এরিক টেন হ্যাগের শিষ্যরা। উলভারহ্যাম্পটনের খেলোয়াড়রাও তখন খেলা দেখাতে শুরু করলেন। শেষ দিকে এসে কঠিন লড়াইয়ে অবতীর্ণ হলো দুই দল।
ম্যাচের শেষ দিকে শুরু হয় রোমাঞ্চকর লড়াই। গোল, পাল্টা গোল। গোলের বন্যায় যেন প্রতিটি গোল আলাদা করে উদযাপন করতে পারছেন না দর্শকরা। এক গোলের উদযাপন শেষ না করতেই যেন আবার গোল। শেষ দিকে ২৬ মিনিটের মধ্যে গোল হয়েছে ৫টি, অথচ আগের ৭০ মিনিটে হয়েছে কেবল ২টি গোল।
উলভারহ্যাম্পটন পেনাল্টি থেকে গোল পাওয়ার ৪ মিনিট পর গোল করে ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন স্কট টমিনয়। এরপর টানা দুটি গোল (৮৫ মিনিটে ও অতিরিক্ত সময়ের ৫ মিনিটে) করে ৩-৩ গোলে সমতায় ফেরে উলভারহ্যাম্পটন। গোল দুটি করেন ম্যাক্স কিলম্যান ও পেদ্রো নেটো।