ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর অনেকেই আঙুল তুলেছিলেন তাঁর চিকিৎসকদের দিকে। আট চিকিৎসকের দুজন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ লিওপোলদো লুক ও মনোবিদ অগাস্তিনা কোসাকোভের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছেও। ম্যারাডোনার স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য দায়ী করা হয়েছে এ দুজনকে। অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে ফিজিওলজিস্ট কার্লোস দিয়াজ ও চিকিৎসা সমন্বয়কারী ন্যান্সি ফোরলানির বিরুদ্ধেও। কিংবদন্তি ফুটবলারের মৃত্যুর জন্য সরকারি কৌঁসুলিরা এবার তাঁর দেখভালের দায়িত্বে থাকা সব চিকিৎসককেই হত্যা মামলার আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়েছেন।
চিকিৎসকদের মামলার আওতায় আনার আরজিতে কৌঁসুলিরা বলেছেন, ম্যারাডোনার মৃত্যুর আগমুহূর্তে চিকিৎসকেরা চিকিৎসা বলতে গেলে বন্ধই করে দিয়েছিলেন এবং এটাই ম্যারাডোনাকে অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ম্যারাডোনার ভবিষ্যৎ তাঁর চিকিৎসকেরা ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন বলেও আরজিতে উল্লেখ করেছেন কৌঁসুলিরা।
খেলোয়াড়ি জীবনেই কোকেনে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক। সঙ্গে ছিল অ্যালকোহল আসক্তিও। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে এ দুটির বিরুদ্ধেই লড়াই চালিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। ২০২০ সালের নভেম্বরে মারা যাওয়ার আগে কিংবদন্তি ফুটবলারের মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে অস্ত্রোপচার করানো হয়েছিল। সেটি থেকে আর সেরে ওঠেননি ম্যারাডোনা।
আট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ‘হত্যা’র অভিযোগ এনেছেন ম্যারাডোনার কৌঁসুলিরা। কৌঁসুলিদের কথা, ম্যারাডোনার চিকিৎসকেরা তাঁর প্রতি অবহেলা করেছেন। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে চিকিৎসকদের ৮ থেকে ২৫ বছরের জেল হতে পারে। অবিবেচকের মতো ম্যারাডোনাকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানোর জন্য চিকিৎসকদেরই দায়ী করছেন কৌঁসুলিরা।